sliderরাজনীতিশিরোনাম

দুঃসময়ে খন্দকার আলী আব্বাসের মত ত্যাগী ও সংগ্রামী নেতৃত্ব প্রয়োজন

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক বলেছেন, আদর্শ ও নীতিহীনতায় রাজনীতিকে এক ধরনের বাণিজ্যে পরিনত করা হয়েছে, রাজনীতি দ্রুত অর্থ বিত্ত গড়ে তোলার বাহনে পরিনত করেছে। ক্ষমতায় থাকলে এখানে যা খুশী তাই করা যায়। তিনি বলেন, জনম্যান্ডেটহীন ও জবাবদিহি বিহীন সরকার চরম স্বেচ্ছাচারী ভাবে দেশ চালাতে যেয়ে ভয়াবহ নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছে। মানুষের জীবনের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। জোর করে ক্ষমতায় থাকতে যেয়ে তারা আজ দেশ ও জনগণকেই বাজি ধরেছে। ভারতে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর মত বাংলাদেশকে এখন লুটের বাজারে পরিনত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার ও সরকারি দলের জেদ-দম্ভে আর বিরোধীদের উপর দমন-পীড়ন আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস দেশকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি গৃহযুদ্ধাবস্থার আশংকা বাড়িয়ে তুলছে; বাড়ছে নানা অপশক্তির অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের। এই পরিস্থিতির দায় দায়িত্ব পুরোপুরি সরকার ও সরকারি দলকেই বহন করতে হবে। তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী গণআন্দোলনে মাঠের লড়াইয়ে বাম গণতান্ত্রিক শক্তিকে কার্যকরি ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে খন্দকার আলী আব্বাসের মত সংগ্রামী আর ত্যাগী রাজনীতিকদের আজ অনেক বেশী প্রয়োজন। তিনি বলেন, খন্দকার আলী আব্বাসের বিপ্লবী জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসাবে কাজ করবে।

আজ সকালে সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রাক্তন সভাপতি সংগ্রামী জননেতা খন্দকার আলী আব্বাসের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যেয়ে অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসাবে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

এই আগে বিপ্লবী জননেতা খন্দকার আলী আব্বাসের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী,আকবর খান, মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, রাশিদা বেগম, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ, সহ সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষসহ সিপিবি, ইকবাল কবির জাহিদসহ বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, ডাঃ ফয়জুল হাকিমসহ জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, জোনায়েদ সাকিসহ গণসংহতি আন্দোলন, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ জেএসডি, শহীদুল ইসলাম সবুজসহ গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাবুল বিশ্বাসসহ ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ডাঃ শামসুল আলমসহ গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, দিদারুল ভূইয়াসহ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর ও মুন্সিগঞ্জ জেলা কমিটি, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি, বিপ্লবী গারমেন্টস শ্রমিক সংহতি, শ্রমজীবী নারী মৈত্রী, বিপ্লবী রিকশা শ্রমিক সংহতি সহ বিভিন্ন দল ও শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ।

সভার শুরুতে খন্দকার আলী আব্বাসের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এর আগে সকালে ঢাকার নবাবগঞ্জে পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আবু হাসান টিপু ও শাহাদাৎ হোসেন খোকনএর নেতৃত্বে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মীরা তার কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বিভিন্ন জেলায়ও কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button