পতাকা ডেস্ক : র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেফাজতে নওগাঁর সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণেই হয়েছে এবং তার শরীরে সামান্য জখমের চিহ্ন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
সোমবার ময়নাতদন্ত টিমের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. কফিল উদ্দিন আরো জানান, ময়নাতদন্তের সময় তিনজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। তারা নিহতের মাথায় রক্তক্ষরণ ও কপালে সামান্য জখম দেখতে পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ সকালে সুলতানা জেসমিনকে অফিসে যাওয়ার পথে শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে আটক করে র্যাব। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ মার্চ সকালে তিনি মারা যান। পরের দিন ২৫ মার্চ রামেকে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে নওগাঁ সরকারি কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এদিকে র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী জেসমিনকে নওগাঁ থেকে আটক করা হয়েছিল স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক এনামুল হকের অভিযোগের ভিত্তিতে ও তারই উপস্থিতিতে। আটকের পরদিন ২৩ মার্চ এনামুল হক নগরীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল আইনে মামলা করেন।