জিহাদই হচ্ছে মুসলিমদের জন্য একমাত্র সমাধান: সেরা ব্রিটিশ মুসলিম সুমাইরা

মুসলিম অব দ্য ইয়ার বা বছরের সেরা বৃটিশ মুসলিম হিসেবে মনোনীত নূর টিভির প্রধান নির্বাহী ও সাংবাদিক সুমাইরা ফারুক। সম্প্রতি জিহাদে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে দেশটির পুলিশি নজরদারিতে রয়েছেন।
৩৮ বছর বয়সী পেশায় সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী সুমাইরা ফারুক সামাজিক ও মুসলিমদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সক্রিয়। সম্প্রতি বার্মিংহামে এক জনসভায় তিনি বক্তব্য দেন। এ বক্তব্যের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় যে তিনি বলেছেন, ‘জিহাদই হচ্ছে মুসলিমদের জন্য একমাত্র সমাধান।’
এরপরই তাকে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত সরকারের আচরণের নিন্দা জানিয়েছিলেন। বার্মিংহামে শত শত মানুষের সামনে তিনি বলেন, ‘আজকে শুধু একটিই স্লোগান উচ্চারিত হবে। তা হলো- কাশ্মীর থেকে কারফিউ তুলে নাও। তাদেরকে তাদের মতো করে বাঁচতে দাও।’
তারপরই সুমাইরা ফারুক বলেন, ‘মুসলিমদের জন্য শুধু একটি কথাই সত্য যে, জিহাদই একমাত্র সমাধান। কোনো আন্দোলন বা অন্য কিছু নয়, শুধু জি’হাদ দরকার।’ গত রোববার নজরদারিতে থাকা সুমাইরা ফারুককে তার বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তদন্তের বিষয়টি জানায়।
এ সময় সুমাইরা ফারুক বলেন, ‘বক্তব্যে তিনি জি’হাদের যে বিষয়টি তুলে ধরেছেন, তাতে জি’হাদের শান্তিপূর্ণ অংশের কথা বুঝিয়েছেন তিনি।’ সুমাইরা ফারুক পাল্টা অভিযোগ করেন যে, তিনি হিজাব পরেন আর হিজাব পরে বক্তৃতা দেয়ায় তাকে নিয়ে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
সুমাইরা ফারুকের ভাষায়, ‘যদি ব্রিটিশ সরকারের কোনো বিষয় কারো ভালো না লাগে আর সে বিষয়ে যদি প্রতিবাদ করা হয়, ইসলামের দৃষ্টিতে সেটিই জি’হাদ। তিনি পুলিশকে আরও বলেন, ‘আপনারা কি ভাবছেন? আমি মুসলিমদের বলছি- যাও তোমরা যু’দ্ধ করো!
বরং আমি এশিয়দের ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে উৎসাহিত করি। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় কাজ করছি। আর আমি কীভাবে সহিংসতায় উসকানি দিতে পারি