sliderস্থানীয়

কেরানীগঞ্জে র‌্যাবের অভিযান, জাল নোট তৈরির সরঞ্জামসহ আটক ২

কেরানীগঞ্জে প্রতিনিধি: শুক্রবার সকালে র‌্যাব-১০ এর মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় একটি জাল টাকা তৈরি ও সরবরাহকারী চক্রের কার্যক্রম সম্পর্কে জানা গেছে। চক্রটি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জাল নোট সরবরাহ করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। এ অবস্থায় র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে প্রতারকদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে র‌্যাব-১০, লালবাগ ক্যাম্পের একটি দল, ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার সুভাঢ্যা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ জন জাল টাকা প্রস্তুতকারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ১) মো.গিয়াস উদ্দিন (২৭), পিতা: মৃত মোজাম শেখ, পূর্ব ডুমরিতলা, পিরোজপুর এবং ২) রেদোয়ান শেখ ওরফে মুমিন (১৯), পিতা: মৃত কাঞ্চন আলী শেখ, নরখালী, পিরোজপুর। তারা বর্তমানে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মুসলিম নগরে বসবাস করছিলেন।

অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০০ টাকার ২,৮০,০০০ জাল নোট এবং ৫০ টাকার ৩,১০,০০০ জাল নোটসহ একাধিক সরঞ্জাম। এর মধ্যে ছিল ০১টি ল্যাপটপ, ০১টি প্রিন্টার, ০১টি কী-বোর্ড, ০১টি মাউস, ০৪টি ক্যাবল, ০১টি রাউটার, ০১টি হেয়ার ড্রায়ার, ০১টি পাম্প ও স্প্রে, ০১টি ফয়েল রোল, ০৮ বোতল বিভিন্ন রঙের কালি, ০১টি স্টিলের স্কেল, ০২টি কাটার, ০৩টি কাটিং ফ্রেম, ১০০ পাতা কাগজ, ২,০০০ টাকা নগদ, পাকিস্তানি ৫০ রুপি, ০৩টি মোবাইল ফোন এবং ০১টি মোটরসাইকেল।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ জাল টাকা প্রস্তুত ও সরবরাহকারী চক্রের সদস্য। ইউটিউব ও গুগলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাল টাকা তৈরির কৌশল শিখে তারা দ্রুত আয়ের উদ্দেশ্যে এ কাজে যুক্ত হয়। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে জাল টাকা সরবরাহের জন্য যোগাযোগ করত। চক্রটি প্রতি ১ লক্ষ টাকার জাল নোট ১৫-২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করত। বিশেষ করে মাছ বাজার, লঞ্চঘাট, বাস টার্মিনাল এবং উৎসব বা পশুর হাটে তারা কৌশলে জাল নোট সরবরাহ করত।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানায়, চক্রটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১-২ কোটি টাকা মূল্যমানের জাল নোটের ব্যবসা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button