একটা জনসভা শেষ করে গাড়িতে উঠছিলেন ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ফার্নান্দো। এ সময় এক ব্যক্তি সামনে এগিয়ে যায় এবং তার মাথায় গুলি করে। ৫৯ বছর বয়সী ফার্নান্দোকে তিনটি গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে মেডিক্যাল সেন্টারে নেয়া হয় এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সময় বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় দেশটির কুইটো শহরে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার পর নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয় হামলাকারীর। এ সময় সে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে মারা যায় সে।
তার প্রচারের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার প্যাট্রিসিও বলেছেন, ‘ইকুয়েডরের মানুষ কাঁদছেন। রাজনীতির কারণে এভাবে যেন কারো মৃত্যু না হয়।’
অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে।
ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ২০ আগস্ট। মোট আটজন প্রার্থী লড়ছেন। জনমত সমীক্ষায় ফার্নান্দো ছিলেন পাঁচ নম্বরে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া মনোভাবের জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন।
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো বলেছেন, ‘ফার্নান্দোর স্মৃতিতে ও তার লড়াইকে সম্মান জানাতে সব দোষীকে ধরে শাস্তি দেয়া হবে।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘এই ধরনের সংগঠিত অপরাধীদের সাহস খুব বেড়ে গেছে। আইন এবার সর্বশক্তি নিয়ে তাদের মোকাবিলা করবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসারদের নিয়ে আমি জরুরি বৈঠক করব।’
ফার্নান্দো ছিলেন সাবেক সাংবাদিক ও গত ছয় বছর ধরে পার্লামেন্টের সদস্য। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে সমর্থন করছিল বিল্ড ইকুয়েডর মুভমেন্ট।
তার লড়াই ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল।
ইকুয়েডরে অপরাধী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়।
সূত্র : ডয়চে ভেলে