sliderআন্তর্জাতিক সংবাদশিরোনাম

শুধু আত্মরক্ষা নয় পাল্টা আক্রমণ করার ক্ষমতাও অর্জন করেছে ইরান: আইআরজিসি

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ সালামি বলেছেন, তার দেশের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বর্তমানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি তেহরানে আইআরজিসি’র কমান্ডারদের ২৩তম জাতীয় সমাবেশে আরো বলেছেন, “আজকের ইরান যেমন শক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে তেমনি পাল্টা আক্রমণেরও ক্ষমতা রাখে এবং শত্রুর অবস্থানে ছোট-বড় যেকোনো আক্রমণ চালানোর অবস্থানে পৌঁছে গেছে ইরান।” আইআরজিসি’র প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ সালামি তার বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতিতে শত্রুদেরকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, যারা মনে করে হুমকি দিয়ে কিংবা জোট গঠন করে এ অঞ্চলের প্রতিরোধ শক্তিগুলোকে মোকাবেলা করতে পারবে এবং নিজেদের আগ্রাসন অব্যাহত রাখতে পারবে তারা ভুলের মধ্যে রয়েছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, ইরানের প্রতিরক্ষা নীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা। ইরানের এ নীতিকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির আলোকে দেখতে হবে। আঞ্চলিকভাবে আত্মরক্ষা ও শত্রুর যেকোনো হুমকি প্রতিহত করা ইরানের সমরনীতির উদ্দেশ্য। আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ইরান হুমকির মুখে রয়েছে। এসব হুমকি মোকাবেলায় ইরান আটলান্টিক মহাসাগরে নিজের সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে।
ইরানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অধ্যাপক আব্দুল রাসুল দেওসালারি বলেছেন, “বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমাণে দেখা যায়, পেন্টাগন মনে করে বর্তমান পরিস্থিতিতে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ এতে করে আমেরিকার কৌশলগত বিরাট ক্ষতি হবে এবং নিজেদের লক্ষ্য অর্জিত হবে না। প্রকৃতপক্ষে ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তি মার্কিনীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।”
যদিও আমেরিকা ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের জন্য হুমকি হয়ে আছে কিন্তু এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, যতদিন পর্যন্ত এ অঞ্চলে ইরানসহ অন্যান্য প্রতিরক্ষা শক্তিগুলো তৎপর রয়েছে ততদিন পর্যন্ত আমেরিকা সামরিক পন্থা অবলম্বনের সাহস পাবে না। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান যেমনটি বলেছেন, “শত্রুরা এটা বুঝতে পেরেছে যে, তার দেশের সেনা বাহিনী শত্রুর যেকোনো আগ্রাসন মোকাবেলায় পূর্ণ প্রস্তুত এবং জনগণ ও দেশ রক্ষায় তারা বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না।”
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সামরিক দিক দিয়ে ইরান ব্যাপক শক্তিশালী হওয়া সত্বেও এ দেশটি যুদ্ধ, আগ্রাসন ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করতে চায় না বরং তারা আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলার মাধ্যমে সম্মিলিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়। ইরান মনে করে নিরাপত্তা বাইরে থেকে কেনা জিনিস নয় বরং নিজেদের পরিকল্পনা ও উদ্যোগের মাধ্যমে সত্যিকারের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে হরমুজ শান্তি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। এ অঞ্চলের দেশগুলোর সহযোগিতায় ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
পার্সটুডে

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button