sliderবিবিধশিরোনাম

যেমন হলো ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের একমাত্র মেয়ের বিয়ে

ইন্দোনেশিয়ার শহর সলো এবং দেশটির আরো অনেক অংশ এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে স্থবির হয়ে পড়েছিল। কারণ তখন চলছিল দেশটির প্রেসিডেন্টের একমাত্র মেয়ের বিয়ে। বুধবার মেয়ে কাহিয়াং আয়ুকে একটি প্রপার্টি ফার্মের পরিচালক ববি নাসুশানের হাতে তুলে দেন প্রেসিডেন্ট জোকো উইডুডু।
বিয়েতে সাত হাজারেরও বেশি অতিথি সশরীরে উপস্থিত হয়েছিলেন। আবার হাজারো মানুষ এর সঙ্গী হয়েছিলেন টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারে।
অফিসিয়ালি নিমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে শহরের গ্রান্ড গ্রাহা সাবা বুয়ানা হলে আরো হাজির হয়েছিলেন সলো শহরের হাজারো সাধারণ মানুষ। এছাড়া আরো অনেকে এসেছিলেন রাজধানী জাকার্তা, বানডাং, পশ্চিম জাভা এবং আরো অনেকে স্থান থেকে।


অতিথিদের মধ্যে ছিলেন ইন্দোনেশিয়ায় সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত অনিল কুমার নায়ার ও তার স্ত্রী পেক সি, জোকোর মন্ত্রিসভার সদস্যরা, দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মেঘবতী সুকর্নপুত্রী ও সুসিলো বামবাং ইউধুয়ানু। এসেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুররহমান ওয়াহিদের স্ত্রী সিনতা নুরিয়াহ।
বিয়ের অতিথির মধ্যে আরো ছিলেন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতারা। এদের মধ্যে ছিলেন হাউস স্পিকার সেত্যা নোভান্ত, জাকার্তার গভর্নর আনিস বাশ্বেদান, নাসদেম দলের প্রধান সূর্য পালহ, ব্যবসায়ী খাইরুল টানদুং এবং সেলিব্রিটি শেফ আর্নল্ড পোয়েরনমো।
জোকোর পরিবার সেজেছিলেন ঐতিহ্যবাহী জাভানিজ পোশাকে। অতিথিদের আমন্ত্রণ জানান জোকো এবং তার দুই পুত্র জিব্রান রাকাবুমিং রাকা (২৯) ও কায়েসাং পানগারেপ (২২)। জোকোর স্ত্রী ইরিয়ানা পরেছিলেন একটি কেবায়া পোশাক।
বর ও কনেকে প্রেসিডেন্সিয়াল বডিগার্ডদের প্রহরায় ঘোড়ার গাড়িতে করে আলাদা আলাদাভাবে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে আসা হয়।
সিঙ্গাপুরের দৈনিক স্ট্রেইট টাইমসের খবরে প্রকাশ, বিয়ে উপলক্ষে শহরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সাড়ে পাঁচ হাজার পুলিশ অফিসারসহ সৈন্যদেরকে নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়োজিত রাখা হয়।

কাহিয়াং ও ববি দু’জনেরই বয়স ২৬ বছর। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সকাল ৯টায়। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জুসুফ কাল্লা ছিলেন কনে পক্ষের সাক্ষী আর বর পক্ষের সাক্ষী ছিলেন অর্থনীতি বিষয়ক সমন্বয় মন্ত্রী দারমিন নাসুসান।
অনুষ্ঠান শেষে প্রেসিডেন্ট জোকো অতিথিদের উদ্দেশে এক বক্তৃতায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বন-কনের জন্য দোয়া করতে বলেন।
জানা যায়, কাহিয়াং ও ববির প্রথম দেখা হয়েছিল ২০১৫ সালে। তখন তারা পশ্চিম জাভার বোগোর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েশন করছিলেন। গত এক বছর ধরে তাদের বিয়ের কথাবার্তা চলছিল।
কাহিয়াং জোকোর মেঝো সন্তান। আর ববি প্রসিদ্ধ বাতাক বংশের সন্তান। তার বাবা এরউইন নসুসান ছিলেন রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত চাষাবাদ ফার্ম পেরকেবুনান নুসানতারা-৪ এর পরিচালক। তিনি গত জানুয়ারিতে মৃত্যুবরণ করেন।
বাতাকরা হচ্ছেন মূলত উত্তর সুমাত্রা থেকে আগত একটি নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠী। এ দম্পতির এ মাসের শেষের দিকে ববির নিজ শহর, প্রদেশটির রাজধানী মেডানে যাওয়ার কথা। সেখানে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিক উদযাপন হবে।
তাদের বিয়েটি ছিল গতকালের বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের প্রধান আলোচনার বিষয়।
সূত্র: স্ট্রেইট টাইমস

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button