মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মনিটরিং বাড়াতে হবে-শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ বলেছেন, মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে স্কুলসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরও মনিটরিং, সুপারভিশন ও গবেষণা বৃদ্ধি করতে হবে।শিক্ষামন্ত্রী রোববার রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
‘সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম’ (এসইএসআইপি-সেসিপ)-এর আওতায় কর্মরত মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝে মোটরসাইকেল বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নয়ন ও অবনতি নিয়ে নিয়মিত রিপোর্ট দিতে হবে। কাজ এগুচ্ছে না, পিছিয়ে যাচ্ছে- তা সঠিকভাবে রিপোর্টে তুলে আনতে হবে।”
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সেসিপ-এর প্রোগ্রাম পরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব (অতিরিক্ত সচিব-উন্নয়ন) এ এস মাহমুদ, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. হামিদুল হক, সেসিপ-এর যুগ্ম-কর্মসূচি পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব রতন কুমার রায় প্রমুখ বক্তব্য দেন।
তিনি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের আইন মেনে মোটরসাইকেল চালানোর নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আপনারা ড্্রাইভিং লাইসেন্স, হেলমেটসহ মোটর সাইকেল চালানোর নিয়ম-কানুন মেনে চলবেন। বেআইনিভাবে গাড়ি চালাবেন না। মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট ব্যবহার করবেন।’
অনুষ্ঠানে সারা দেশের ৩১৩ জন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারের মাঝে মোটরসাইকেলের লাইসেন্সসহ আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় কাগজ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এছাড়া অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি চত্বর থেকে ঢাকা মহানগরীর ১৬ জন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ১৬ জন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারের মাঝে মোটরসাইকেল হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তিন কর্মকর্তার মাঝে প্রতীকী চাবি হস্তান্তর করেন।
এই তিন কর্মকর্তা হলেন- রংপুর সদর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আকিনুর রহমান, রাজধানীর রমনা থানা একাডেমিক সুপারভাইজার বেগম উম্মে সালমা ও ধানমন্ডি থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল কাহহার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি নেয়া হয়েছে জানিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, দুর্নীতি করে কেউ শিক্ষা পরিবারে চাকরি করতে পারবেন না। তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দুর্নীতিমুক্তভাবে কাজ করাার আহ্বান জানান।
দেশের ৯৯ শতাংশের বেশি শিশু এখন স্কুলে যায় বলে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় কয়েক বছর আগেই দেশে জেন্ডার সমতা এসেছে। সুযোগ পেলে নারীরা এখন শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রেও সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের শিশুরা অনেক মেধাবী। তবে প্রযুক্তির ব্যবহারের জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে তাদেরকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বমানে উত্তরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেইসাথে নৈতিক মূল্যবোধ, সামাজিক মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক তৈরিতে একটি জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে সবাই মিলে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এক্ষেত্রে সবাই মিলে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’ বাসস




