এ নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে মহিলা ওয়ার্ডের ভর্তি কয়েকজন নারী নিজেদের সুস্থ দাবি করছেন। তারা বলছেন, তাদেরকে পাগল আখ্যা দিয়ে এখানে আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু আসলে তারা সুস্থ।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা মোছাম্মদ কাফসুরা খাতুন নামে এক নারী বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি কখনোই মানিসিক রোগী ছিলান না। আমার স্বামী আমাকে ব্যবহার করে টাকা কামাতে চেয়েছিলো। আমি রাজি না হওয়ায় সে আমাকে অনেক মারধর করে। এর পরেও যখন রাজি হচ্ছিলাম না তখন এখানে জোর করে ভর্তি করে যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার একটা সন্তান ছিলো। সে আমার স্বামীর প্রতারণার কারণে মারা গেছে। আমি কাউকে কিছু বলতে পারিনি। কারণ আমি আমার স্বামীকে খুব ভালো বাসতাম। কিন্তু সে আমাকে ঘরের মধ্যে বন্দী করে রেখে অন্যান্য মেয়েদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতো।’
‘এখানে যেসব নারীদের রাখা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে প্রতারিত হয়ে এখানে আসছে। আমি এখান থেকে মুক্তি পেতে চাই। আমি আমার স্বামীর মুখোশ খুলে দিতে চাই,’ বলেন কাফসুরা।
কাফসুরা গত ২০ দিন ধরে পাবনা মানসিক হাসপাতালে রয়েছেন বলে জানান। তিনি জানান, তার বাড়ি রাজশাহীতে, আর শশুরবাড়ি নাটোরে।
কাফসুরা সবার পক্ষ থেকে বলেন, ‘এখানে আসে প্রত্যেক নারী কোনো না কোনোভাবে প্রতারিত হয়ে এসেছেন। প্লিজ, আপনারা আমাদের মুক্ত করেন। আমরা আর এই বন্দীদশায় থাকতে পারছি না চিড়িয়াখানার মতো।’
হাসপাতালে ভর্তি করে রাখা আরো কয়েকজন নারী একই ধরনের অভিযোগ তুলে বলেন, তারা প্রতারণার শিকার। তারা মানসিক রোগি নন, তারা সুস্থ। জোর করে তাদেরকে এখানে আটকে রাখা হয়েছে।
এদিকে নাছির উদ্দিন সিলেট বিডি নামের একটি ফেসবুক আইডিতে প্রথম পোস্ট করা হয় এই ভিডিওটি।
ভিডিওবার্তায় নাছির উদ্দিন লেখেন, ‘পাবনা মানসিক হাসপাতালে মহিলা ওয়ার্ডের চিত্র। বাড়ি যাওয়ার জন্য তাদের বুক ফাটা কাঁন্না যেন কিছুতেই থামছে না। মানবাধিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি আপনারা একটু দেখেন, ওরা পাগল না, পাগল বানানো হয়েছে। আপনারা ওদের পাশে দাঁড়ান।’
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। স্বাধীনভাবে ভিডিওটির বক্তব্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবু জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় বিষয়টি প্রকাশ করা হলো।
বাংলা