sliderঅপরাধশিরোনাম

ছাত্রীর শ্লীলতাহানি : শাবির তিন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাইরের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির মামলায় তিন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
একইসঙ্গে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে শিশু আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রোববার সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক এ আদেশ দেন বলে জানান আদালতের পিপি আব্দুল মালেক।
পরোয়ানার তিন আসামি হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, একই বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগকর্মী এস এন সাজ্জাদ রিয়াদ ও সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগকর্মী মাহমুদুল হক রুদ্র।
পিপি মালেক বলেন, আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিযেছে। পাশাপাশি ভিকটিমের বয়স ১৬ বছর এবং শিশু হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ও ৩০ ধারায় মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারের জন্য শিশু আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তিনজনের নাম উল্লেখসহ ৭/৮ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন।
আদালতের বিচারক মোহিতুল হক মামলা আমলে নিয়ে এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
গত ৪ মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত দলের প্রধান সিনিয়র সহকারী জজ তাসলিমা শারমিন।
ঘটনায় সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সাজ্জাদ রিয়াদ ও মাহমুদুল হক রুদ্রের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মশরুর চৌধুরী শওকত বলেন, গত ৮ এপ্রিল বিকালে পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া ওই ছাত্রী তার ফুফাত ভাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে যান।
“শহীদ মিনার এলাকায় কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী তাকে উত্ত্যক্ত করার পাশাপাশি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাংবাদিক এর প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর হামলা চালান বিবাদীরা।”
হামলায় আহত হন বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নাবিউল আলম দিপু ও সাধারণ সম্পাদক সরদার আব্বাস।
এ ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button