sliderদূর্ঘটনাশিরোনাম

হায়েনার কামড়ে হাত বিচ্ছিন্ন: সেই শিশুর খবর রাখেনি কেউ

পতাকা ডেস্ক :‘চিড়িয়াখানায় কর্তৃপক্ষ কথা রাখেনি। দুর্ঘটনা ঘটলে তৎপর ছিল তারা। সাঈদের পাশে থাকার কথা দিয়েছিল। সে সময় পঙ্গু হাসপাতালে চিড়িয়াখানার দায়িত্বে চিকিৎসা হয়। তখন তারা আমাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু প্রায় তিন মাস হয়ে গেল আমাদের খবর নেয়নি কেউ। তাছাড়া তারা যে মোবাইল নম্বরটা দিয়েছে তাতে কল দিলে ধরে না। প্রায়ই বন্ধ থাকে।’

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় চিড়িয়াখানায় হায়েনার কামড়ে হাতের কনুই পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া শিশু সাঈদের বাবা সুমন মিয়া (২৪) অভিযোগ করে একটি গণমাধ্যমে এ কথা বলেন।

গত ৮ জুন মা-খালা ও নানা-নানির সঙ্গে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যায় দুই বছরের শিশু সাঈদ। একপর্যায়ে হায়েনার খাঁচার কাছে গেলে শিশুটির হাত কামড়ে ছিঁড়ে নেয় হায়েনা। এ সময় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।

সাঈদের বাবা সুমন মিয়া জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি রংপুরে। নিজেদের জমি বা ঘর নেই। গাজীপুরের কোনাবাড়ীর জিরানী এলাকার একটি কারখানায় চাকরি করেন তিনি। সেখানেই তারা ভাড়া থাকেন। স্ত্রী শিউলি গৃহিণী, সাঈদকে ঘিরেই এখন তার সব চিন্তা। কারণ সাঈদের বাবাও অল্প টাকা বেতনে গার্মেন্টসে কাজ করেন। এ জন্য তার ভবিষ্যৎ কী নিয়ে কাটবে সব সময় সেই দুশ্চিন্তায় থাকেন।

সাঈদের নানা মিনহাজ ইসলাম বলেন, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা বাবদ ৪০ হাজার টাকা দিয়েছিল। তারা সাঈদের বাবাকে চিড়িয়াখানায় চাকরি দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছিল। সাঈদের পাশে দাঁড়ানোর কথাও বলেছিল, কিন্তু ঘটনার প্রায় সাড়ে তিন মাস হয়ে গেল কেউ খবরও রাখেনি।

জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, শিশু সাঈদের সার্বিক চিকিৎসা আমরা করিয়েছি। তবে আপাতত তার জন্য আর্থিকভাবে আমাদের কিছু করার নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button