sliderগণমাধ্যমশিরোনাম

সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে, কালো আইন বাতিলের দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে এফবিজেও র বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন

পতাকা ডেস্ক : ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে আজ ২৮ নভেম্বর সকাল ১০ টায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংস্কার ;তথ্য সুরক্ষা আইন বাতিল ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে জেল ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার কালো ও দমন পীড়ন আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা ও বিভিন্ন জেলার থেকে আগত সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উক্ত মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এর পক্ষে মাওলানা ইমরান হোসেন;
উক্ত মানববন্ধনে সভাপতিত্বো করেন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান এস এ মোরশেদ; সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশনের অর্থ সচিব ও সাপ্তাহিক নবজাগরণ পত্রিকার সম্পাদক মোঃ আবু তাহের পাটোয়ারী; অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন; বাংলাদেশ রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল আজিজ মাহফুজ;ভাইস চেয়ারম্যান জসিম হায়দার চৌধুরী; ঢাকা প্রেসক্লাবের স্থায়ী কমিটির সদস্য দৈনিক এ সময়ের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এমএম তোহা; দৈনিক সরকার পত্রিকার সম্পাদক ও সভাপতি বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার ফোরাম ওবায়দুল হক এডিটরস ফোরামের পক্ষে বক্তব্য রাখেন দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক অশোক ধর; মুক্তির লড়াই পত্রিকার সম্পাদক কামরুজ্জামান জনি; দৈনিক অপরাধ রিপোর্ট পত্রিকা সম্পাদক খোন্দকার মাসুদুর রহমান দিপু; দৈনিক চৌকস পত্রিকার সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম হেলাল শেখ; দৈনিক মানবাধিকার প্রতিদিন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন; মতিঝিল রিপোর্টার্স ক্লাবের আহ্বায়ক এজাজুর রহমান যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আফসার; সাংবাদিক সংস্থা পাঠাগারের সভাপতি লেখক প্রকাশক মোঃ ফয়জুল্লাহ পাঠান। উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিএম এসএফের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক সোহাগ আরেফিন; দৈনিক বাংলা খবর প্রতিদিন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার রাজিয়া সুলতানা তৃর্ণা, নিউজ ৭১ বাংলা এর বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ শাফায়েত হোসেন প্রমুখ। ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান এস এম মোরশেদ তার বক্তব্যে বলেন – সরকারি ২৯ প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা!
তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা করেছে সরকার। তথ্য পরিকাঠামো হলো কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক, যেখানে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।
গত ২১ সেপ্টেম্বর এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। আইসিটি বিভাগ তাদের ওয়েবসাইটে ২৬ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ধারা ১৫ অনুযায়ী সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী, এ আইন দিয়ে সরকার কোনো কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক বা তথ্য পরিকাঠামোকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড, সেতু বিভাগ, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, জাতীয় ডেটা সেন্টার (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (নির্বাচন কমিশন সচিবালয়), সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ইমিগ্রেশন পুলিশ, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি বাংলাদেশ, রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করলে সাত বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে। বেআইনিভাবে প্রবেশ করে ক্ষতিসাধন বা ক্ষতির চেষ্টা করলে ১৪ বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডই দেওয়া যাবে। সূত্রঃপ্রথম আলো।
মানববন্ধন শেষে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ু ব্যানার ফেস্টুন সহকারে একটি মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের কার্যালয় গিয়ে উপস্থিত হন। সেখানে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের নিকট সাংবাদিকদের দাবি-দাওয়া সম্মিলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এই সময় তার সাথে কিছু সময় দাবি দেওয়ার সম্বলিত বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন শেষে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের নিকট উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের দাবি-দাবাগুলো সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং সরকারের দাবি সম্মিলিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন বলে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে আশ্বাস প্রদান করেন। আজকের মানববন্ধন কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে প্রায় 50 টি বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button