sliderস্থানিয়

শিবগঞ্জে টাকা ছাড়া মিলছে না ভাতার কার্ড, নেপথ্যে মিলছে নারী দালাল

শিবগঞ্জ(চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা: শিবগঞ্জে টাকা ছাড়া মিলছে না সুবিধাভোগীদের ভাতার কাডর্। সুবিধাভোগী ভাতার কার্ড নিয়ে গোটা উপজেলা জুড়ে চলছে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কার্ড পেতে দালালদের হাতে দিতে হচ্ছে টাকা। টাকা না দিলে চরম হয়রানী করা হচ্ছে, এমনকি কার্ড বাতিলের হুমকীও দেয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন সুবিধাভোগী ভাতার কার্ড পেতে কোন টাকা লাগে না। তবে টাকা লেনদেনের লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভুক্ত ভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে পূর্বের জরিপ করা প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড হয়ে গেলেও কাড’ পেতে দিতে হচ্ছে সাড়ে তিন হতে চার হাজার টাকা। ভুক্তভোগীরা বাধ্য হয়ে দিচ্ছে টাকা। কারণ তাদের ভাতার টাকা ব্যাংক এশিয়ায় জমা হলেও ভাতার কার্ড ছাড়া টাকা উত্তোলন করা যাবে ন।

অন্যদিকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিবে বলে কয়েকজন নারী দালাল ১২হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েও কার্ড না দিয়ে চরম হয়রানী করছে। তবে সহসা কেউ মুখ খুলছেন না। তাদের ভাষ্য হলো দালাল বলে দিয়েছে টাকা লেনদেনের কথা জানাজানি হলে আমাদের ভাতার কার্ড বাতিল হয়ে যাবে।

সরজমিনে গেলে উপজেলার শিয়ালমারা গ্রামের জাহানারা বেগম জানান, প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পাওয়ার আশায় একই গ্রামের প্রবাসী রুহুলের স্ত্রী সাবিনাকে তিন কিস্তিতে ১২হাজার টাকা দিয়েছি। এখনো কার্ড পাইনি। যখনই কার্ড চাচ্ছি তখনই শুধু বলেন কয়েকদিন দেরী হবে। একই অভিযোগ ভুক্তভোগী শেফালী বেগম,ভুট্টো আলি, ইব্রাহীম আলি সহ অনেকেই। তারা জানান প্রায় তিন বছর আগে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করার জন্য সাবিনাকে কয়েকবারে ১২হাজার টাকা করে দিয়েছি। তারা আরো জানান শুধু শিয়ালমারা গ্রামেই সাবিনা ১৪ জনের নিকট হতে একই হারে টাকা নিয়েছে। কেউ কার্ড পেয়েছে,কেউ পায়নি। এ ব্যাপারে সাবিনার সাথে ছদ্দবেশে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করতে আট হাজার থেকে ১২হাজার টাকা নিলেও আমি একা এ টাকা ভোগ করি না। এ টাকা হতে মেম্বারকে জনপ্রতি এক হাজার টাকা, প্রতিবন্ধীদের সার্টিফিকেট নিতে ডাক্তারকে জনপ্রতি দুই হাজার টাকা অফিস ম্যানেজ করতে জনপ্রতি দুই হাজার টাকা করে দিতে হয়। তিনি আরো বলেন কিছু কার্ড পেয়েছি এবং আরো কিছু কার্ড পেতে বাকী আছে। অল্প কযেকদিনের মধ্যে সেগুলি পাবো একই ধরনের তথ্য অন্যান্য ইউনিয়নেও পাওযা গেছে। তবে অন্যান্য ইউনিয়নে কিছু কিছু পুরুষ দালাল আছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো.নুরুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সুবিধাভোগীর ভাতার কার্ড পেতে কোন ধরনের টাকা দিতে হয় না। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

অন্যদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজাহার আলি বলেন,এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button