জাতীয়শিরোনাম

শিক্ষার্থীদের মধ্যে মূল্যবোধ ও দেশাত্মবোধের বিকাশ ঘটাতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মেধা বিকাশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মূল্যবোধ, মমত্ববোধ ও দেশাত্মবোধের বিকাশ ঘটাতে অভিভাবকদের দায়িত্বশীল ভুমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন শিক্ষা দিতে হবে তারা যেন গুরুজনের প্রতি দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়। বড় হয়ে বাবা-মাকে যেন অবহেলা না করে এবং তাদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে না দেয়। এ ধরনের মানসিকতা যাতে তাদের মধ্যে সৃষ্টি না হয় সেজন্য ছোটকাল থেকেই সেই শিক্ষাটা দিতে হবে। তবেই শিক্ষার্থীরা পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। এভাবে আমাদের দেশটি আরও সুন্দর হবে।
শুক্রবার বিকালে রাঙ্গুনিয়ার সুখবিলাশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘নুরুন্নাহার স্মৃতি বৃত্তি’র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সুখবিলাস ফিশারিজ এন্ড প্ল্যানটেশনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কবির তালুকদার। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জর্জ কোর্টের আইনজীবী ও তথ্যমন্ত্রীর মা প্রফেসর অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগম। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সুখবিলাস ফিশারিজ এন্ড প্ল্যানটেশনের চেয়ারম্যান এরশাদ মাহমুদ। বিধু মুৎসুদ্দির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, সুখবিলাস উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ সভাপতি মো. খালেদ মাহমুদ, উপাধ্যক্ষ দুলাল কান্তি দাশ, সাবেক চেয়ারম্যান আবু জাফর, নাছির উদ্দিন সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাদশা, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রিক্তা সেন, বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ রাসেল মাহমুদ প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জীবনে বড় হতে হলে স্বপ্ন দেখতে হয়। স্বপ্নহীন মানুষের মধ্যে স্বপ্ন পূরণের তাগাদা থাকে না। তাই অভিভাবকদের অনুরোধ জানাবো ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন দেখানোর জন্য। শুধু স্বপ্ন দেখে বসে থাকলে হবে না, সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। শিক্ষাটা শুধু স্কুলে নয়, পরিবার থেকেও অনেক কিছু শিখতে হয়। মূল্যবোধ, দেশাত্মবোধ মানুষের প্রতি মমত্ববোধ এবং গুরুজনের প্রতি কর্তব্যবোধ এগুলো পরিবার থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তিনি বলেন, বৃত্তির অঙ্কটা ছোট, কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহীত করতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যেকোনো জায়গায় একটা বই উপহার পেলেও আমরা খুব বেশি উৎসাহিত হতাম। আমরা অনেক সময় দৌড় প্রতিযোগিতায় একটা কাপ কিংবা প্লেট পুরস্কার হিসেবে পেতাম। স্কুলে যে পুরস্কার পেতাম তা ঘরে এসে মা বাবাকে দেখাতাম। সেটার যে আনন্দ সেই আনন্দ এখনও শরীরে লেগে আছে। জীবনের বহুপথ পাড়ি দিয়ে আজকে এই অর্জনের পেছনে সেই অর্জনগুলো সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
ইত্তেফাক

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button