
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নির্বাচনী ইস্তেহারে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা এবং গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিশ্চিতে অঙ্গীকারের আহ্বান জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
বৃহস্পতিবার দুপরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘নির্বাচনী ইশতেহার: নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আট দফা দাবি জানিয়ে লিখিত নিবন্ধ পাঠ করেন সুজনের কেন্দীয় সমন্বয়কারী দীলিপ কুমার রায়। এ সময় সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন, লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বেলার সভাপতি সৈয়দা রেজওয়ানা হাসানসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনে ইশতেহার হলো দলের সাথে নাগরিকদের অলিখিত চুক্তি। সেখানে দেশের সাধারণ নাগরিকদের আশা-প্রত্যাশা প্রতিফলন থাকে। এর মাধ্যমে দলগুলো ক্ষমতায় গিয়ে কী করবে তার একটি আভাস পাওয়া যায়। তাই আমরা নাগরিকরা কী ধরনের উন্নয়ন চাই, সেটি তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, নিবার্হী বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ সব প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এগুলোকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে হবে। এছাড়াও আর্থিক বিষয়াদির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ন্যায় পাল নিয়োগের ব্যাপারে তারা কী করতে চান সেটাও ইশতেহারে স্পষ্ট থাকতে হবে।
সুজন সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের লক্ষ্যে একটি আইন প্রণয়ন করা উচিত যাতে করে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সৎ, যোগ্য, নিরপেক্ষ ও স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের কমিশনে নিয়োগ দেওয়া যায়।
অনুষ্ঠানে কলামিস্ট ও সুজনের নির্বাহী সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সরকারের অসন্তোষ নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করতে পারবে না। যেভাবে তারা কাজ করতে চায় তারা পারছে না। সরকারি দলের লোকজন যেভাবে নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করছেন তাতে মনে হচ্ছে সরকারি দলের লোকজন নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগে নেমেছেন। এ অবস্থায় জনগণের আস্থা ফেরাতে হলে তাদেরই প্রমাণ করতে হবে তারা দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম, স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারবে। নির্বাচন কমিশনকে তাদের স্বচ্ছতা ও দায়িত্ব দৃশ্যমান করতে হবে।