
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: বোয়ালমারীতে ১৪ বছর বয়সী ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষকের নাম আব্দুর রহমান। তার পিতা ওসমান মোল্যাও একই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামে নিজের বাড়ির জায়গায় “লংকারচর চরছাতিয়ানী দারুস সুন্নাহ মহিলা মাদ্রাসা” নামে একটি প্রতিষ্ঠান করেন ২০২০ সালে। মাদ্রাসায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে ধর্মীয় শিক্ষা দীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রায় ৫০ জন ছাত্রী থেকে লেখাপড়া করেন। মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ওসমান মোল্যা ও তার ছেলে আব্দুর রহমান প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। ওসমান তার নিজের প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কাশেমুল উলুম বেলজানী খরসূতি মাদ্রাসায় চাকুরী করেন। এই সুযোগে ছেলে শিক্ষক রহমানের চোখ পড়ে একই ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের “কুদুরী” পড়া এক ছাত্রীর দিকে। গরীব ছাত্রী হওয়ার জন্য তাকে ওই লম্পট দুশ্চরিত্র শিক্ষক রহমান তার বসে এনে ধর্ষণ চালিয়ে যায়।
গত রবিবার রাতে ওই মেয়েকে ধর্ষন করতে গেলে প্রতিবেশী এক লোকের কাছে ধরা পড়ে যায়। শুরু হয় নানা মতভেদ।
গত বুধবার এলাকার কিছু মাতুব্বরেরা বসে মিমাংসা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মেয়েটি অসুস্থ থাকার কারণে মীমাংসা স্থগিত থাকে। গোপন সংবাদে জানা যায় ৫ লক্ষ টাকায় দেনদরবার হচ্ছে। প্রতিবেশী কিছু লোক বলছেন বাড়ির ওপর মাদ্রাসা করে চার পাশ দিয়ে বাউন্ডারি করে ঘিরে গেছেন শুনি ওর মধ্যে অনেক কিছুই হয়। যা সত্যিই হল। তবে রহমানের স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে থাকতে সে যে কাজ করেছে তার ফাঁসি হওয়া উচিত।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসায় তালা মারা, সাইনবোর্ড অপসারণ। শিক্ষক আব্দুর রহমান পলাতক এবং মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল শিক্ষক আব্দুর রহমানের বাবা বলেন, আমার জামাইয়ের সাথে যোগাযোগ করেন।
জামাই কাশেমুল উলুম বেলজানী খরসূতি মাদ্রাসার শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এটা মিটমাটের মধ্যে। নিউজ করিয়েন না।
মেয়ের বাড়িতে গেলে বেরিয়ে আসে আরো এক লোভহর্ষক কাহিনী। এলাকার লোক বলেন, মেয়ের বাবা শাহীন তিনিও একটি মাদ্রাসায় চাকুরী করার সুবাদে অনেক মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগে তিনি এখন বাড়ি ছাড়া। মেয়ের দাদা বলেন, আমার নাতীনকে মাগুরা হাসপাতাল থেকে এনে এখন বোয়ালমারীতে রাখা হয়েছে। বোয়ালমারী হাসপাতালে রাখছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানিনা। আনার ছেলে জাহিদ জানে।
জাহিদকে কল দিলে তিনি বলেন,সাতৈর বাজারে আসেন বলে তিনি ফোনটি বন্ধ করে রেখে দেন।
ঘোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন নবাব বলেন, বিষয়টি আপনার কাছে শুনলাম খোঁজখবর নিচ্ছি।
থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ আসেনি এবং কেউ মৌখিকভাবে জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




