slider

বালিয়াডাঙ্গীতে পাটচাষী প্রশিক্ষনে অনিয়ম দুর্নীতি, তোপের মুখে পাট সহকারী কর্মকর্তা

মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কর্মরত পাট অফিসার ঝরনা বেগমের বিরুদ্ধে পাট ও পাট বীজ চাষী প্রশিক্ষনে নানা অভিয়োগ উঠেছে । প্রশিক্ষনে বহিরাগত নিয়ে আসলে এলাকায় এখবর ছড়িয়ে পড়লে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ হলরুমে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে । ২৭ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ হল রুমে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ শীর্ষক (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় পাটবীজ চাষী প্রশিক্ষন শুরু হয়। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১৫০ জন পাট চাষী প্রশিক্ষন দেওয়ার কথা থাকলে ৬৯ জনের মতো বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পটচাষী প্রশিক্ষনে নামের তালিকায় সত্যতা পেয়েছেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ আফছানা কাওছার ও ঠাকুরগাঁও জেলা পাট কর্মকর্তা অসীম কুমার মালাকার। বাকি ৮১ জনের নাম প্রশিক্ষন চলাকালীন সময়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ইউএনও ও ঠাকুরগাঁও জেলা পাট কর্মকর্তা’র উপস্থিতিতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ব্যাতীত (ভূয়া) তালিকা দিয়ে ৩ টি উপজেলার রাণীশংকৈল, পীরগঞ্জ ও সদর উপজেলার লোকজনকে অটো ভাড়া নিয়ে প্রশিক্ষন দিতে নিয়ে আসেন পাট কর্মকর্তা ঝরনা বেগম । এই প্রশিক্ষণে প্রকৃত পাট চাষীকে নির্বাচিত করার কথা ছিল কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ঝরনা বেগম মত এবারো এই প্রশিক্ষণে তার অফিস কর্মী, পীরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা শশুর, আত্মীয়দের প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, কৃষক না হয়েও প্রশিক্ষণে বিশেষ উদ্দেশ্যে আত্মীয়দের যুক্ত করেছেন ঝরনা বেগম। প্রশিক্ষণে আত্মীদের যুক্ত করেছেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে ঝরনা বেগম কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যাদের তিনি প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দিয়েছেন তাদের কোন প্রকার জমি নেই। এমনকি জমি বর্গা নিয়েও কোন আবাদ করেন না তারা। মুলত নগদ ৮শ ৮০ টাকা নগদা হাতিয়ে নেয়ার জন্যই এ অপকর্ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা পাট কর্মকর্তা সরাসরি উপস্থিত থেকে অনিয়ম দেখতে পান বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা ও কারন দর্শানোর নোটিশ দিবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফছানা কাওছার জানান, বালিয়াডাঙ্গী সহকারী পাট কর্মকর্তা ঝরনা বেগমের বিরুদ্ধে উদ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের লিখবেন। এ বিষয়ে ঠাকুরগাও জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন। সহকারী পাট কর্মকর্তা ঝর্না বেগম সাংবাদিকদেরকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন, এবং কয়েকজন সাংবাদিককে মোটা অংকের টাকাও দিয়েছেন বলে, অভিযোগ উঠেছে । এই দুর্নীতিবাজ পাট সহকারী কর্মকর্তা ঝর্না বেগমের বিচারের দাবি জানিয়েছেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কৃষকরা ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button