ফেসবুকে নিষিদ্ধ ব্রিটেনের ডানপন্থীরা
বিদ্বেষ প্রচারের অভিযোগে ব্রিটেনের ডজনখানেক ডানপন্থী নেতা এবং সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফেসবুক ব্যবহার করে ওইসব সংগঠনগুলো কোনো ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবে না।
এক বিবৃতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক জানায়, ব্রিটিশ ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি), বিএনপির সাবেক নেতা নিক গ্রিফিন, ইংলিশ ডিফেন্স লিগ, দ্য ন্যাশনাল ফ্রন্ট, ব্রিটেন ফার্স্ট এর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ফেসবুক জানায়, এসব সংগঠন এবং ব্যক্তি সহিংসতা ও বিদ্বেষমূলক প্রচারণা চালানোর কারণে তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যেসব ব্যক্তি এবং সংগঠন বিদ্বেষ ছড়ায়, হামলা করে ও অন্যকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত মনে করে না তাদের জন্য ফেসবুকে কোনো স্থান নেই।
যেসব সংগঠন এবং ব্যক্তিকে ফেসবুক নিষিদ্ধ করেছে:
১. ব্রিটিশ ন্যাশনাল পার্টি এবং পার্টির সাবেক নেতা নিক গ্রিফিন
২. ব্রিটেন ফার্স্ট, এই পার্টির নেতা পল গোল্ডিং এবং সাবেক উপনেতা জেডা ফ্রানসেন
৩. ইংলিশ ডিফেন্স লিগ এবং এটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পল রে।
৪. নাইটস টেম্পলার ইন্টারন্যাশনাল এবং এটির প্রমোটর জিম ডওসন
৫. ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং এটির নেতা টনি মার্টিন
৬. ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির একজন সংসদ সদস্যকে হত্যার পরিকল্পনা করা নব্য নাৎসি জ্যাক রেনশ
ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জানান, যেসব ব্যক্তি এবং সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তারা ফেসবুকের কোন সেবা গ্রহণ করতে পারবে না। এমনকি এসব ব্যক্তি কিংবা সংগঠনকে সমর্থন অথবা প্রশংসা করে যদি কেউ কোন পোস্ট দেয় তাহলে তাকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে হবে।
এদিকে ব্রিটিশ সংসদের হোম অ্যাফেয়ার্স সিলেক্ট কমিটির সভাপতি ইয়ুভেত্তে কুপার জানান, সময় পার হয়ে যাওয়ার পর এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার আগেই চরমপন্থীরা ফেসবুক ব্যবহার করে অনলাইনে তাদের বিদ্বেষের বিষ ছড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে প্রবেশ করে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট নির্বিচারে গুলি করে ৫০ জন মুসল্লিকে হত্যা করে। শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী ওই ব্যক্তি নির্মম এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করেছিল। এই ঘটনার পর ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক প্রচারণার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠে। ফলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীসহ যে কোন বিদ্বেষ প্রচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেয়।