পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের মাত্র এক মাসেরও বেশি সময় বাকি আছে। এরইমধ্যে নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে নির্বাচন পেছানোর জন্য দেশটির সংসদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এর ফলে দেশটিতে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হচ্ছে না। খবর ডনের
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর কথা বলা হয়েছে।
সিনেটর দিলওয়ার খান প্রস্তাবটি পড়ার সময় বলেন, সংবিধান পাকিস্তানের প্রতিটি নাগরিকের ভোট দেওয়ার অধিকারকে সমুন্নত রেখেছে এবং নির্বাচন কমিশন সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে বাধ্য।
দিলাওয়ার উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনীকালীন সময় শীতপ্রধান এলাকায় অসুবিধা সম্পর্কে তাদের আপত্তি প্রকাশ করেছে।’
‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের জীবনের জন্য গুরুতর হুমকির কথা জানিয়ে দিয়েছে যে রাজনৈতিক দলগুলি একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে,’ দিলওয়ার বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তার হুমকি রয়েছে। বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে হামলার সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থাগুলি উভয় প্রদেশে নির্বাচনী সমাবেশে জঙ্গি হামলার হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছে।’
এ সিনেটর বলেন, ‘নির্বাচনী সমাবেশে জঙ্গি হামলার আসন্ন হুমকির ইঙ্গিত দিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্কতা জারি করেছে, যা নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর সম্ভাব্য প্রভাব ফেলতে পারে।’
প্রস্তাবটির বিরোধিতা করে পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) সিনেটর আফনানুল্লাহ খান বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আসলেই ভালো নয় কিন্তু ২০০৮ এবং ২০১৩ সালে পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল তবুও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’
‘আপনি কি আবহাওয়া এবং নিরাপত্তার অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করবেন?’ এমন প্রশ্ন তুলে আফনানুল্লাহ খান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন দুবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’
আফনানউল্লাহ প্রশ্ন তোলেন, ‘২৪ কোটি জনসংখ্যার দেশ পাকিস্তান সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াই চলতে পারে কিনা। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে আপনি চান কি? আপনি কি দেশে সংসদ চান না?’
পাকিস্তানে সংসদের উচ্চকক্ষে ১০০ জন সদস্য রয়েছে। তবে মাত্র ১৪ জন আইনপ্রণেতা প্রস্তাব পাসের সময় উপস্থিত ছিলেন। তবে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রী মুর্তজা সোলাঙ্গী এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) সিনেটর আফনান উল্লাহ খান এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন।