
নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের সিংড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির দুই শীর্ষ নেতাসহ অন্তত ৮ জন বিএনপি সমর্থক আইনজীবী আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন সংক্রান্ত সভা শেষে ভূরিভোজে অংশ নেওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলার রাজনীতির মাঠে চলছে বিতর্ক আর সমালোচনা।
ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোতে দেখা যায়, নাটোরের সিংড়ায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বাড়িতে ভূরিভোজ করছেন সিংড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান মন্টুসহ শীর্ষ নেতারা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ও সংগঠনের মতবিনিময় সভা করে আসছেন নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলক।
ধারাবাহিক সেই আয়োজনে রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে তার নিজ বাড়িতে ওই মতবিনিময় সভায় সিংড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান মন্টু ও সিংড়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. আলী আজগরসহ বিএনপিপন্থী ৭-৮ জন আইনজীবী অংশ নেন।বিষয়টি নিয়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা চলছে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে দেখা যায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বাসভবনে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভা শেষে রাতে ভূরিভোজ করছেন উপজেলা বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, বিএনপি যখন মাঠে লড়াই সংগ্রাম করছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন ঘরবাড়ি ছেড়ে বনেজঙ্গলে বাস করছে। তখন এসব কতিপয় বিতর্কিত ব্যক্তিদের কারণে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের মনোবল নষ্ট হচ্ছে। নেতাকর্মীরা যখন মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ঠিক তখন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে একটেবিলে বসে ভূরিভোজে মেতে উঠে দলের সঙ্গে বেঈমানী করেছেন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান মন্টু জানান, তাদের ভুল বুঝিয়ে সেখানে নিয়ে যাওয়া । সিংড়ার আইনশৃঙ্খলা ও সৌজন্যতামূলক আলোচনার জন্য সিংড়ার আইনজীবীদের দাওয়াত দেয়া হয় প্রতিমন্ত্রীর বাসভবনে। সেখানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভাটি যে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের বিষয়ে হচ্ছে তা আগে জানলে যেতাম না।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বলেন,ঘটনার রাতেই ছবিগুলো আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক যে তারা নেতৃত্ব দেয়ার স্থানে থেকে চলমান আন্দোলনে স¤পৃক্ত না হয়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে গেছেন। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।