slider

নড়াইলের আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব গঙ্গাধর পাগল ঠাকুরের বাৎসরিক মহোৎসব ও মতুয়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মো:মামুন মোল্যা, নড়াইল প্রতিনিিধি :দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সনাতন ধর্মালম্বীসহ অন্যান্য ধর্মের পাগল ঠকুরের ভক্তরা এই আশ্রমে তাদের মনোবাসনা পূর্ণ করতে আসেন ।
তাদের বিশ্বাস, এই আধ্যাত্মিক সাধকের আশ্রমে যে কোন সমস্যার সমাধান চেয়ে কেউ নিরাশ হয়না । এই ভক্তি ও বিশ্বাসের ওপর ভর করেই প্রতি বছর নেয় এবারও ০৯ থেকে ১২ পৌষ পর্যন্ত পাগল ভক্তরা এই আশ্রমে মহোৎসবে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়।
তিন দিন ব্যাপী মহোৎসব ২৫ ডিসেম্বর (০৯ পৌষ) সন্ধায় ধর্মীয় আলোচনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়, ২৬ ডিসেম্বর ভোর থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত মহোৎসব উদযাপন ও প্রসাদ বিতরণ এবং রাত ১০টা থেকে ধর্মীয় নাটক অনুষ্ঠিত হয়, এভাবে ২৮ ডিসেম্বর (২৩ পৌষ) পর্যন্ত বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই মহোৎসবের পরিসমাপ্তি হবে । এ ছাড়া প্রতিমাসে পূর্ণিমার তিথীতে এই আশ্রমে উৎসবসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয় এবং প্রতি সোববার পাগল সভা হয় বলেও আশ্রম কমিটি জানান।
উৎসব অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবু এ্যাডভোকেট সুভাস চন্দ্র বোস, বিশেষ অতিথি কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ, জেলা পরিষদ সদস্য খাঁন শাহীন সাজ্জাদ (পলাশ), জয়নগর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী আইয়ু হোসেন, বাঐসোনা ইউপির চেয়ারম্যান এস, এম চুন্নু শেখ, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তরিকুল আলম মুন্নুসহ স্থাণীয় সকল ধর্মালম্বী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।
তারা বক্তব্যে বলেন, প্রতিবছর এই মেলা সকল ধর্মের লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির দেশ । এখানে সকল ধর্মালম্বীরা মিলে মিশে মেলা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে সম্প্রির বন্ধনকে অটুট রাখে । এই মেলায় সাংসারিক কাজে ব্যবহৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিসের দোকান, শিশুদের বিনোদনের বিভিন্ন ব্যবস্থা, হরেক রকম খাবারের সমারোহ থাকায় সকল শ্রেণী পেশার নারী পুরুষ ও শিশুদের উপস্থিতি মেলার শ্রীবৃদ্ধি করে বলে জানান ।
২ একর ২৭ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠিত আশ্রমটিতে জায়গা সংকুলান হয়না বলে আশ্রম কমিটি জানান । তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বিবেচনায় আনার জন্য দৃষ্টি আকর্ষন করেন তারা ।
আশ্রম কমিটির সভাপতি সুবোধ কুমার বিশ্বাস ও সাধারন সম্পাদক অসীম কুমার ভক্ত জানান, প্রতি বছর নেয় এ বছর ভক্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে । এখানে আইনশৃংখলা বাহিনী সুন্দরভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে । কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি । নির্বিঘ্নেই আগতরা উৎসব উপভোগ করছে । আমরা সাম্প্রায়িক সম্প্রিতির উর্ধ্বে থেকে মানব সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে চাই ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button