নাটোর প্রতিনিধি : উত্তরবঙ্গের জেলা নাটোর শহরতলীর পশ্চিম বড়গাছা রেলবস্তি এলাকায় শাবনূর নামে এক ভেড়াকে বলাৎকারের ঘটনা ঘটেছে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। ঘটনাটির পর থেকেই বলাৎকারী রনির পরিবার ঘটনাটিকে আড়াল করা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি সোমবার সকাল ১০ টায় । রেলবস্তির হোটেল কর্মচারী সৈয়দ আলীর স্ত্রী শুক্কুরি বেগমের চারটি ভেড়ার মধ্যে তিন মাসের গর্ভবর্তী শাবনূর বলাৎকারের শিকার হয়। বলাৎকারের ঘটনাটি ঘটায় প্রতিবেশী একই এলাকার সিরাজের ছেলে রনি ইসলাম। রনি পেশায় কাঠ ও রংএর মিস্ত্রী । বিবাহিত এবং ২ সন্তানের জনক ।
প্রতিবেদক সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দরিদ্র হোটেল শ্রমিক শুক্কুরি বেগম বলেন,সোমবার সকালে আমি ভেড়াগুলো বাসায় বেঁধে রেখে হোটেলের কাজে যায় । ভেড়ার খাবার পিঁয়াজের খোসা নিয়ে বাসায় ফেরার পথে ভেড়ার চিৎকার শুনে বাসায় ছুটে গেলে আমাকে দেখে দিগম্বর অবস্থায় রনি ভেড়া ছেড়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। আমাকে হুমকি দেয় কউকে জানালে তোকে প্রাণে মেরে ফেলবো । এ সময় ভেড়ার যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়।
শুক্কুরি বেগম বলেন, আমি তাৎক্ষণিক রনির মাকে গিয়ে ঘটনাটি দেখালে তিনি আমার কথা গ্রাহ্য না করে উল্টো ছাগলের চিকিৎসা করাতে বলেন। পরে আমার স্বামীকে সংবাদ দিলে তিনি এসে ছাগলটিকে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় পশু চিকিৎসক দেখিয়ে চিকিৎসা করান। তিনি অশ্র“সিক্ত কন্ঠে বলেন,আমি শাবনূর নামে ভেড়াটিকে নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করে আসছি । আমি আমার শাবনূরের বলাৎকারকারী বখাটে রনির বিচার চাই ।
পরে সোমবার দুপুরে তিনি নাটোর সদর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানান ।
শুক্কুরি বেগমের প্রতিবেশী অন্ধু ভিক্ষুক হাসিনা বেগম জানান,রনি ইতিপূর্বে সিঁদ কেটে আমার ঘরে প্রবেশ করে হাড়িপাতিল চুরি করে নিয়ে যায় । আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে । আমি স্থানীয়দের কাছে বিচার দিয়ে কোন ফল পায়নি ।
এ সময় পশ্চিম বড়গাছা রেলবস্তির বাসিন্দারা জানান,রনির অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ । চুরি,ছিনতাই,মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত । বিকৃত রুচির মানুষ । রনির সাথে যোগাযোগর চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি । তবে পরিবারের নামপ্রকাশে অনইচ্ছুক এক সদস্য জানান,তাদের ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। রনি এখন কোথায়- প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুপুর থেকে ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,আমরা ঘটনাটি শুনেছি। রনির দ্বারা এ হীন কাজ নেই যে সম্ভব না । পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষদের হয়রানি করে । এই ছেলের ন্যাক্কারজনক কাজের কারণে এলাকার বদনাম হয়েছে। আমরা সৈয়দ আলীকে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য