ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয়একাত্তর হলে এক সাধারণ শিক্ষার্থীকে ব্যাপক মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিসহ ৮ জনকে বহিষ্কার করেছে হল প্রশাসন। শুক্রবার রাতে বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আ.জ.মশফিউল আলম ভূইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম, ৩য় বর্ষের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশান সিস্টেমস বিভাগের রবিউল হাসান রানা, আইন বিভাগের আহসান হাবিব সজীব, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আবু ইউনুস, ২য় বর্ষেরভাষা বিজ্ঞান বিভাগের কাজী তানভীর আহমেদ, শিক্ষা ওগবেষণা বিভাগের সামচিতা ব্রীজপ্রান্ত, মার্কেটিং বিভাগের ইবনে কায়েসজিয়া ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের ওয়াহিদ আনোয়ার রণ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে নৃবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইসমাইল আহমেদ মুবিনকে ঢাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ও তার অনুসারীরা ব্যাপক মারধর করে।
এ ঘটনায় জড়িতদের সিসি টিভির ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করে সাময়িক বহিষ্কার করে হল প্রশাসন।
হলের প্রাধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বহিষ্কৃত ৮ নেতাকর্মীকে দেয়া হয়। সেখানে তাদেরকে হল প্রদত্ত আইডি কার্ড, চাবি, ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি হল প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিকভাবে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রক্টর অধ্যাপক এ এমআমজাদ ও স্ব স্ব বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আ.জ.মশফিউল আলম ভূইয়া বলেন,তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নৃবিজ্ঞানের ইসমাইলকে মারধরের ঘটনায় ৮ জনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনার সময় সিসি টিভির ফুটেজ দেখে তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়।
জড়িতদের ছাত্রলীগ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, ঘটনার সাথে কারা জড়িত জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে যারা দোষী হবে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের পক্ষ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে হলের দোকানে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলামের সাথে সামান্য ধাক্কা লাগায় ইসমাইলকে ৩ দফায় ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়।