sliderজাতীয়শিরোনাম

ঢাবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ শুক্রবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জাতীয় জাগরণে কবি নজরুল।’
এ উপলক্ষে ভোরে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধিতে যান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে কবির মাজার প্রাঙ্গণে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণ সভায় বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল, বিশিষ্ট কবি ও সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বক্তব্য রাখেন।
অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবর শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন এবং নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো: এনামউজ্জামান। বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন। অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. মহসিনা আক্তার খানম (লীনা তাপসী)-এর নেতৃত্বে সংগীত পরিবেশন করেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দীন সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে মানবতার কবি, অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির কবি হিসেবে আখ্যায়িত করে নজরুলের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান সকলকে।
তিনি বলেন, মানবতাবাদই নজরুলের চেতনার মূল সুর। বহুমাত্রিক চেতনার নজরুলকে নিয়ে অনেকে নানা রাজনীতি করার অবপ্রয়াস করেন, নজরুলকে নানা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যাখ্যা করে থাকেন। প্রকৃত অর্থে নজরুল দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণা-নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিলেন। তিনি বৃটিশের বিরুদ্ধে বাঙালি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন সকল মানুষকে। অসাম্যের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে তিনি জাতীয় জাগরণের অণুপ্রেরণা সৃষ্টি করেছেন। বাসস

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button