sliderজাতীয়শিরোনাম

ড. ইউনূসকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাবেন সেনাপ্রধান,শপথ আজ

ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ দুপুরে দেশে আসবেন। বিমানবন্দরে তাকে রিসিভ করবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গতকাল বুধবার বিকাল পৌনে ৬টার দিকে সেনাসদরে এক বিফ্রিংয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ হতে পারে। এ সরকারে ১৫ জন সদস্য থাকতে পারেন।’

সেনাপ্রধান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের কাজের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে পুলিশ সক্রিয় হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলেও জানান তিনি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ড. ইউনূস আজ দেশে আসবেন। আমি তাকে বিমানবন্দরে রিসিভ করব।

গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সেনাসদরে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সেনাবাহিনী প্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের পাশে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন উপস্থিত ছিলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, অনেক ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। সেগুলো নিশ্চিত না হয়ে সামাজিকমাধ্যম বা গণমাধ্যমে প্রকাশ করবেন না। গুজব চলছে, গুজবে কান দেবেন না। নিশ্চিত না হয়ে গুজব রটাবেন না। নিবৃত্ত থাকলে ভালো হবে। তিনি বলেন, পুলিশ পুনর্গঠনের কাজ চলছে। নতুন পুলিশপ্রধান নিয়োগ হয়েছে। পুলিশ বিশাল একটি বাহিনী। পুলিশের কাজ সেনাবাহিনী দিয়ে করা সম্ভব নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা-লুটপাটের খবর আসছে। লুটতরাজ সৃষ্টি করবেন না। যারা লুটতরাজ করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সহিংসতায় জড়িতদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। শিগগিরই লুটতরাজ বন্ধ হয়ে দেশের পরিস্থিতি অবাধ সহজ অবস্থায় ফেরত চলে আসবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনী সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করবে। সবাই মিলে সাহায্য করবে। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। তিন বাহিনী জনগণের সঙ্গে আছে। আমরা সুন্দর ভবিষ্যতে পৌঁছাতে পারব বলে আশা করছি। আমাদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী কাজ করছে।
দেশে পুলিশের যে অনুপস্থিতি রয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি সেই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করেন সেনাপ্রধান। পুলিশের মনোবলও ফেরত আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পেশাদার ফোর্স হিসেবে তারা দ্রুত কাজ করতে সক্ষম হবে। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। বিভিন্ন স্থানে যারা ভাঙচুর ও সহিংস ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।

সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, আমি দেখেছি শিক্ষার্থীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা পালন করছে। ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় শিক্ষার্থীদের এ দায়িত্ব পালন দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তারা রাস্তার ময়লাও পরিষ্কার করেছে। আমার বিশ্বাস, তারা এ ভালো কাজগুলো ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাবে। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সেনাবাহিনীর সব ইউনিট মাঠে নামানো হয়েছে। সচিবালয়, কূটনীতিকপাড়া, সরকারের সচিব, বিচারপতি, তাঁদের বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ছাত্ররা সহযোগিতা করছে। তাদের আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ। লুটতরাজ ও ডাকাতির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। পুলিশ পুনর্গঠন হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। লুটতরাজের সংখ্যা অনেকটা কমে এসেছে। ছাত্ররা আমাদের সাহায্য করছে। তারা বিভিন্ন স্থাপনা পাহারা দিচ্ছে। আমাদের সব ফোর্স মাঠে কাজ করছে। তার পরও কোনো ব্যর্থতা থাকলে দায় আমার। দেশে পুলিশের যে অনুপস্থিতি রয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি সেই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করেন সেনাপ্রধান।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button