জ. ই. আকাশ, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) : মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঝিটকা বাজার। একটু বৃষ্টি হলেই বাজারের বিভিন্ন গলিতে কাঁদা ও ময়লা আবর্জনায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এতে করে চলাচলে চরম জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও সময়ে অসময়ে যততত্র বড় বড় মালবাহী গাড়ি পার্কিং করে লোড আনলোডের কারণে অনেক সময় জ্যামের সৃষ্টি হয়। ফলে পথচারীসহ ক্রেতা বিক্রেতাদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। অনেক সময় জরুরি রোগীর গাড়িও আটকে বিপাকে পড়তে হয়। বৃষ্টি বিঘ্নিত গলিতে মোটরসাইকেল নিয়েও দুর্ঘটনার স্বীকার হন অনেকে। পয়ঃনিষ্কাশনের সঠিক কোনো ব্যবস্থাপনা না থাকায় কাঁদা ও জলবদ্ধতার কারণে জনগণের যেন ভোগান্তির শেষ নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত দুই দিনের বৃষ্টিতে বাজারের বিভিন্ন গলিতে কাঁদার স্তূপ। বাজারের প্রধান গলি পিয়াজ হাটার ব্রীজের গোড়া থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত কাঁদার স্তূপে জরাজীর্ণ। কাঁদার কারণে পীচ ঢালা রাস্তা দিয়েও যেন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। কাঁদার স্তূপ থেকে চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেরও সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির মৌসুমে বাজারে চলাচল করাই যেন দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে জনসাধারণের। নাক মুখ চেপে ধরে চলতে হয় বাজারে আগত নারী ও পুরুষ ক্রেতা-বিক্রেতা এবং পথচারীদের। অথচ বাজারের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় কারও যেন কোনো ভূমিকা নেই। শুধু কাঁদাই নয়, একটু বড় আকারের বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় বাসস্ট্যান্ডের ফলপট্টির গলিসহ আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ও মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে। সম্পূর্ণ অব্যবস্থাপনার কারণেই বাজারের এই বেহাল অবস্থা এমনটিই দাবি করেন বাজারের একাধিক সাধারণ ব্যবসায়ীসহ ক্রেতা- বিক্রেতারা।
ঝিটকা বাজারের ব্যবসায়ী গোবিন্দ কর্মকার জানান, “বৃষ্টি নামলেই বাজারের প্রধান গলি সহ অন্যান্য গলি কাঁদায় নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় ময়লার দুর্গন্ধও ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাজারের ব্যবসায়ীসহ ক্রেতা-বিক্রেতা ও জনসাধারণের হাঁটা চলাচল খুবই কষ্টকর। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত নজরদারি প্রয়োজন।”
ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ জানান, “বাজারের পরিবেশ রক্ষায় পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করাটা খুবই জরুরি। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় এই বাজারে।”
এ ব্যাপারে ঝিটকা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন ভূইয়া জানান, “পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ড্রেন এবং গলির রাস্তার দুই পাশে বৃদ্ধি করার ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে। আশা করি খুব দ্রুতই সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা হবে।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, “এ বিষয়ে কয়েকদিন আগে আমি নিজেই বাজার কমিটির সভাপতির সাথে কথা বলেছিলাম। জুন ক্লোজিং এর কারণে আর হয়ে উঠেনি। জুলাইয়ের প্রথম দিকেই ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনা করে বাজারের পরিবেশ রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”