
সোহেল রানা, মানিকগঞ্জ : নতুন করে পানি বৃদ্ধির ফলে মানিকগঞ্জের ঘিওর ধলেশ^রী নদীতে আবারো তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে ঘিওর সরকারি কলেজের পেছনে ধলেশ^রী নদীর উত্তর পাড় এলাকায় গত তিন দিনের ব্যবধানে পাঁচ বিঘারও বেশি ফসলি জমি ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মানুষ ঘরবাড়ি ও গবাদি পশু নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। হুমকির মুখে রয়েছে নদী তীরবর্তী ঘিওর-দৌলতপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং শেখ কামাল আইটি সেন্টার ও ইনকিউবেশন সহ তিনটি ব্রীজ, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও শত শত বিঘা ফসলী জমি। তীব্র ভাঙ্গন রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে নদীর পাড় এলাকার মানুষের। আতঙ্গের মধ্যে দুশ্চিন্তায় রাত্রি যাপন করছেন নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজন।
গত তিন চার দিন আগে নদী অনেক দূরে ছিল। ভাঙতে ভাঙতে এখন বাড়ির সীমানায় ধরে ফেলেছে। কখন যেন বাড়িঘর নদীতে ভেসে যায় এই দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম নষ্ট হয়ে গেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল মোল্লার। এদিকে আব্দুল লতিফ খলিফা তার বাড়ির ঘরদরজা সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অন্য দিকে পাকা স্থাপনা-ঘরবাড়ি ও স’-মিল নিয়ে মহা-বিপাকে পড়েছেন অবসরপ্রাপ্ত (বিজিবি) জলিল কাজী। নদী ভাঙ্গন এলাকায় দেখতে আসা বীরমুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন খান জানান, ইতোমধ্যে বহু ফসলী জমি নদীতে চলে গেছে। এভাবে নদী ভাঙতে থাকলে কয়েক দিনের মধ্যে তীরবর্তী অনেক মূল্যবান সম্পদ নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে। তাই সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে পানি উন্নয়ন বিভাগকে দ্রুত ভাঙন রোধ কাজ করার আহ্বান জানাই।
ভাঙন রোধে প্রশাসনিকভাবে এখনো কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে অব্যহত এই নদী ভাঙনে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসী।