sliderরাজনীতিশিরোনাম

এই বাজেট নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণিকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়ার বাজেট — এবি পার্টি

আমার বাংলাদেশ পার্টির নেতারা বলছেন, সরকারের ঘোষিত বাজেট নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণিকে ধুকে ধুকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়ার বাজেট।
আজ বিকেল ৪ টায় আমার বাংলাদেশ পার্টি- এবি পার্টি’র বিজয় নগরস্থ কেন্দ্রীয় অফিস চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট এবং প্রহসনের বাজেটের প্রতিবাদে এবি পার্টি এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। দলের সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাড. তাজুল ইসলাম। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু।
সমাবেশের প্রধান বক্তা মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, বাজেট তৈরী করা হয় দেশের মানুষের প্রয়োজন ও প্রত্যাশাকে সামনে রেখে। কিন্তু সরকার বাজেট তৈরী করেছে নিজেদের এবং তাদের তল্পিবাহক সিন্ডিকেটের উচ্চবিত্ত সদস্যদের স্বার্থ রক্ষার্থে। প্রচন্ড গরমে মানুষ ঘুমাতে পারছেনা, বিদুৎ খেকো দূর্নীতিবাজ সরকারের লোড শেডিংয়ের যন্ত্রনায় মানুষের জীবন দুর্বিষহ। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল কিছুর দাম বেশী। এখন দেশের বেশীরভাগ মানুষের সবচাইতে বড় প্রয়োজন খেয়ে পরে কোন রকম বেঁচে থাকা। সরকার এমন বাজেট প্রস্তাব করেছে যাতে মনেহচ্ছে তারা চায় নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণি ধুকে ধুকে মৃত্যুমুখে পতিত হোক।
সরকার যে বাজেট ঘোষণা করেছে এর মাধ্যমে জনগণের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, জনগণের আয় বৃদ্ধি না পেলেও সরকার যে কর বৃদ্ধি করেছে তা জনগণকে ঋণগ্রস্থ করে ফেলবে। এই বাজেটে দরিদ্র মানুষের জন্য কিছু নেই, ধনীদের সুবিধা নির্ভর বাজেট করতে যাচ্ছে সরকার। এই কল্পিত অবাস্তব বাজেটের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান নিতে হবে। তিনি বলেন এবারের বাজেট বরাবরের মতই গতানুগতিক, উচ্চাভিলাষী ও লুটপাটের ধারা অব্যাহত রাখার বাজেট বলে আমরা মনেকরি।


সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশে জ্বালানির দাম না কমানো জনগণের অধিকার হরন ও তাদের প্রতি চরম নিষ্পেষণ। এই বাজেটে চলমান দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি আরো দীর্ঘায়িত হবে। বিদ্যুৎ সংকট চরম পর্যায়ে যাবে। জনজীবনে দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি পাবে। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বাৎসরিক বাজেট থেকে চাই স্বচ্ছলতা ও সন্মান। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার করছে উল্টোটা। যাদের আয় নেই, ট্যাক্স দেয়ার সামর্থ নাই, কিন্তু আয়কর পরিচিতি নম্বর আছে, সরকার তাদেরকে ২০০০ টাকা ট্যাক্স দিতে বাধ্য করছে। তিনি বলেন জনগন এই বাজেট ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম-সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্য সচিব এম আমজাদ খান, প্রকৌশলী মোহাম্মদ লোকমান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হুসেইন, মহানগর দক্ষিনের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক, যুব পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম ইলিয়াছ আলী, যুব পার্টির সদস্য সচিব শাহাদাত উল্লাহ টুটুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব ফিরোজ কবীর, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান, অ্যাডভোকেট সুলতানা রাজিয়া, হাদিউজ্জামান খোকন, ফেরদৌসী আক্তার অপি, মাসুদ জমাদ্দার রানা, সেলিম খান, শফিউল বাশার, আহমদ বারকাজ নাসির, শিলা আক্তার, ছাত্রনেতা আশরাফুল ইসলাম নির্ঝর, সিএম আরিফ প্রমূখ।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button