নুরুল আজিম মিন্টু,ঈদগাঁও কক্সবাজার : কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে এক প্রবাসী পরিবার। প্রবল বর্ষণে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতের তাদের ঝুঁকি আরো বেড়েছে।
প্রবাসী মোঃ গিয়াস উদ্দীন অভিযোগ করেন, তিনি প্রবাসে। ঘরে স্ত্রী-সন্তান থাকে। তার বাড়ির দেওয়াল ঘেঁষে মাটি কেটে উঁচু পাহাড় করে রেখেছে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব বোয়ালখালী এলাকার শফিউল আলমের ছেলে মোঃ সায়মুন ইসলাম এর স্ত্রী বদিউল আলমের মেয়ে সেলিনা আক্তার, পাহাড় কাটার মাটি যে কোন সময় তাদের বাড়ির দেওয়ালে ধসে পড়তে পারে। এতে করে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে তাদের।
গিয়াস উদ্দিনের ভাষ্যমতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এমনটা করতেছে সায়মুন ইসলামের পরিবার। সায়মুন ইসলামও প্রবাসী। দেশে তার স্ত্রী থাকেন। কয়েকমাস আগে আমি যখন দেশে এসেছিলাম তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে আমার পরিবার ও এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামরা স্থাপন করি, সেখানে একটা ক্যামরা গেইটের সামনে প্রধান সড়ক সবার চলাচলের রাস্তার দিকে দেওয়া হলে সেটা নিয়ে আপত্তি তোলেন সায়মুন ইসলামের স্ত্রী সেলিনা আক্তার, এ নিয়ে ঈদগাহ থানায় একটা অভিযোগ ও করেন এবং একজন ক্ষমতাসীন ব্যক্তির পরিচয় দিয়ে থানায় পেশার দেন রাস্তার দিকে দেওয়া সিসি ক্যামরাটি খুলে ফেলতে, থানা থেকে এস আই রুহুল আমিনকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি সরজমিনে গিয়ে দেখেন প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন নিজের পরিবার ও এলাকার নিরাপত্তার খাতিরে সিসি ক্যমরা স্থাপন করেন এতে দোষের কি? পরবর্তিতে এটা মুটামুটি সমাধান করা হলেও থেমে নেই সায়মুন ইসলামে স্ত্রী সেলিনা আক্তারের অত্যাচার আর হয়রানী, এলাকার চিহিৃত কিছু সন্ত্রাসী দিয়ে আমার বাড়ির সদর গেইটে দিনে রাতে ইট পাটকেল ছোঁড়া, লাথি ঘুষি মারা, অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা দৈনন্দিন ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে, এতে আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছে, যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় সায়মুন ইসলামের স্ত্রী বাড়িতে একা থাকেন প্রায় সময় সন্ধার পর থেকে তার বাড়িতে এলাকার মাদক সেবী, চিহিৃত সন্ত্রাসী সহ অচেনা লোকজনের আনাগুনা দেখা যায়, সে জন্য হয়ত সিসি ক্যামরা তার সমস্যার কারন।
পরিকল্পিত র্দুঘটনা ও নাশকতার চিন্তা সরুপ এই বর্ষার মৌসুমকে কাজে লাগিয়ে রাতের অন্ধকারে পাহাড়ের মাটি কেটে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির দিকে ফেলতে দেখেছে গিয়াস উদ্দিনের পরিবার, তারা ঘরে একা থাকে সে ভয়ে রাতদিন তাদের অন্যায় মুখ বুঝে সহ্য করতে হচ্ছে।
গিয়াস উদ্দিন জানান আমি একজন রেমিটেন্স যুদ্ধা প্রতিমাসে বৈধ প্রন্তায় দেশে টাকা পাঠাচ্ছি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে আমাদের অধিকার আছে আমি এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তা দাবী করার, যে কোন মুহুর্ত্বে ঘটে যাওয়া বড় ধরনের কোন নাশকতা ও পাহাড় ধ্বসে মৃত্যু ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।