sliderআন্তর্জাতিক সংবাদশিরোনাম

মুহূর্তের ‘পারমাণবিক’ ক্রোধে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে পারে বিশ্ব

রাজনৈতিক নেতৃত্বের মুহূর্তের উত্তেজনায় বিশ্বে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবলিশ নিউক্লিয়ার উইপন্স’ (আইসিএএন) এর নির্বাহী পরিচালক বিয়াট্রিস ফিন। রবিবার নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করতে এসে নরওয়ের রাজধানীতে উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার দিকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুহূর্তের ক্রোধ (রাজনৈতিক নেতৃত্বের) লাখো মানুষের মৃত্যু ডেকে নিয়ে আসতে পারে। আমাদের সামনে বিকল্প হচ্ছে হয় পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করা অথবা আমাদের ধ্বংসের দিন গোণা। সম্প্রতি ট্রাম্প ও উ. কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অপমানসূচক কথাবার্তা চালাচালি হচ্ছে। ট্রাম্প কিমকে রকেট ম্যান এবং উ. কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ট্রাম্পকে বুড়ো ভাম অভিহিত করেছে। দুইজনই দুইজনকে পাগল বলে অভিহিত করেছেন ইতিমধ্যে। জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে ট্রাম্প উ. কোরিয়াকে আগুন দিয়ে জবাব দেয়ার হুমকি দেন। আর উ. কোরিয়াও সমগ্র মার্কিন ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম হোয়াসং ১৪ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
অসলোতে পুরস্কার গ্রহণ করতে এসে বিয়াট্রিস বলেন, মুহূর্তের উত্তেজনার কারণে পারমাণবিক অস্ত্রের আঘাতে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু ও নগর ধ্বংস হয়ে যাবে। বর্তমানে এ ধরণের অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের চেয়েও অনেক বেশি। আইসিএএন বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করতে কাজ করে আসা এনজিওগুলোর জোট। পুরস্কার প্রদানের আগে নোবেল কমিটির চেয়ার বেরিট রেইস অ্যান্ডারসেনও এই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যেকোনো পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে দায়িত্বজ্ঞানহীন নেতৃত্ব ক্ষমতায় আসতে পারে। আইসিএএন এর প্রশংসা করে তিনি বলেন, সংগঠনটি পারমাণবিক অস্ত্র দূর করার চেষ্টার পাশাপাশি এর বিপদের দিকে সবার নজর আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। বিবিসি।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button