sliderআন্তর্জাতিক সংবাদশিরোনাম

ব্রিটেনে করোনা : মসজিদের পার্কিং এলাকায় এখন শুধু লাশ

যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের ঘামকল শরিফ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের গাড়ি রাখার জায়গায় অস্থায়ী মর্গ গড়ে তোলা হয়েছে। করোনার কারণে এখন মসজিদ বন্ধ আছে।
বার্মিংহামের স্মল হিথ এলাকায় প্রধানত দক্ষিণ এশিয়া থেকে যাওয়া অভিবাসীরা বাস করেন। সেখানেই এই মসজিদটি অবস্থিত।
মসজিদের ট্রাস্টি মোহামেদ জাহিদ মর্গ স্থাপনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বার্তা সংস্থা এপিকে তিনি জানান, করোনার আগে মসজিদে সপ্তাহে এক বা দুটি জানাজা হতো। আর এখন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দিনে পাঁচ-ছয়টি জানাজা হচ্ছে৷।
পাশের গ্রিন লেন মসজিদের সালিম আহমেদ জানান, তাদের মসজিদে বছরে প্রায় ২৫ বার জানাজা হয়। কিন্তু গত তিন সপ্তাহে প্রতিদিন পাঁচটি করে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ৭০০র বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছেন৷
পরিসংখ্যান বলছে, ১৭ এপ্রিলের আগে ব্রিটেনে মারা যাওয়াদের ১৬ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় কিংবা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (বিএএমই) মানুষ ছিলেন। যুক্তরাজ্যে মোট জনসংখ্য়ার প্রায় ১৪ শতাংশ ঐ গোত্রের অন্তর্গত।
এছাড়া ইনটেন্সিভ কেয়ার ন্যাশনাল অডিট অ্যান্ড রিসার্চ বলছে, যুক্তরাজ্য কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ইনটেন্সিভ কেয়ারে থাকা রোগীদের এক-তৃতীয়াংশ অ-শ্বেতাঙ্গ৷ মারা যাওয়া একশ’র বেশি স্বাস্থ্যকর্মী বিএএমই গোষ্ঠীর বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
সংখ্যালঘুদের উপর করোনার এমন আঘাতের বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলেছে সরকার।
লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কমলেশ খুন্তি বলছেন, সংখ্যালঘু ব্রাইটনদের অনেকে একটি ছোট এলাকায় একসঙ্গে অনেকে বসবাস করেন। এছাড়া তারা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা পেশা, যেমন চিকিৎসক, নার্স, ট্যাক্সি চালক, বাসকর্মী হিসেবে কাজ করেন।
বেডফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গার্চ রানঢাওয়া এ প্রসঙ্গে বর্ণবাদের বিষয়টি তুলে এনেছেন। তার অভিযোগ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নার্সরা অন্যদের তুলনায় কম সুযোগ-সুবিধা পান। যেমন, এই সময়ে তারা হয়ত সবার পরে পিপিই পেয়েছেন কিংবা অন্যদের চেয়ে তাদেরকে কোভিড-১৯ রোগীদের কাছে বেশি পাঠানো হয়েছে।
মসজিদ বন্ধ
করোনার কারণে বার্মিংহামের মসজিদ যেমন বন্ধ রয়েছে তেমনি এশিয়ার কয়েকটি দেশেও মসল্লিদের মসজিদে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যেমন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলমান বাস করা ইন্দোনেশিয়ার প্রধান ইস্তিকবাল মসজিদ থেকে বাসায় নামাজ পড়ার অনুরোধ করা হয়েছ।
পাকিস্তানের করাচির অন্যতম বড় মসজিদ ফাইজান-ই-মদিনাতে যেন কেউ ঢুকতে না পারে সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ভারতের নতুন দিল্লির জামে মসজিদে রমজানের প্রথম দিনের মাগরিবের নামাজে মাত্র পাঁচজনকে নামাজ পড়তে দেয়া হয়েছে। ডয়চে ভেলে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button