করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে পাকিস্তান পুলিশ মুসলিমদের শুক্রবারের জুম্মার নামাজে বড় জমায়েত ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে ছিল। জুম্মার নামাজের আগে দুপুর ১২টা থেকে তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউয়ের মতো কর্মসূচী নিয়েছিল দেশটির সরকার।
পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স খবরে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে জুম্মার নামাজের জমায়েত রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছিল দেশটির সরকার। ফলে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আরো কঠোর হয়েছে পাক পুলিশ। আর এজন্য কঠোর লকডাউন কর্মসূচী নিয়েছে দেশটির পুলিশ।
খবরে বলা হয়, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এমনকি ভারতের ধর্মীয় বড় সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বোঝায় রেখে চলার নিয়ম করতে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছে। যাতে দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো যায়।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছে, করাচীতে দুপুর ১২টা থেকে তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউয়ের মতো লকডাউন দিয়ে রেখেছিল। যাতে মানুষ নামাজের জন্য ঘর থেকে বেড়িয়ে বড় কোন জমায়েত ঘটাতে না পারে।
সিন্ধু প্রদেশের স্থানীয় সংস্থা ও তথ্যমন্ত্রী সৈয়দ নাসির হোসাঈন শাহ বলেছেন, মানুষের জীবন বাঁচানোর বৃহৎ স্বার্থ নিয়ে আমরা নামাজের জন্য মসজিদে বড় জমায়েতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছি। যেটাকে ইসলামিক শরিয়ত স্বীকৃতি দেয়।
জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর ৫ম অবস্থানে থাকা দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা ভাইরাসের মহামারি নিয়ে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছে, এখানাকার দুর্বল জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে করোনা ভাইরাস সহজে আচ্ছন্ন করে ফেলবে।
রয়টার্স জানায়, পাকিস্তানে এ পর্যন্ত ২৩৮৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে মুসলিমদের সুন্নি সম্প্রদায়ের তাবলীগ জামাতে অংশ নেওয়ারা অনেকাংশে জড়িত। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তানেই সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।