
ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের নগরকান্দায় যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় অন্তত দুই কিলোমিটার পায়ে হেটে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দুই সহোদর কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ দিয়েছেন ইউএনও মো. দবির উদ্দিন। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের ছোট পাইককান্দী গ্রামে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি গিয়ে তিনি এই ত্রাণ বিতরণ করেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গরুর গোয়ালঘরে জ্বালানো মশার কয়েলের আগুনে পাইককান্দী গ্রামের রাজু মোল্যার ছেলে কৃষক নুর ইসলাম মোল্যা ও নুরুজ্জামান মোল্যার তিনটি বসতঘর, দুইটি গরু, চারটি ছাগলসহ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে পরদিন শুক্রবার দুপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নিজের ব্যবহৃত সরকারি গাড়িতে করে ত্রান সামগ্রী নিয়ে বের হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দবির উদ্দিন।
কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় তার গাড়িটি ওই ইউনিয়নের ইশ্বরদী মোড় পর্যন্ত যাওয়ার পর থেমে যায়। এরপর তিনি তার সঙ্গে থাকা নেতাদের নিয়ে ঘোড়ামারার বিল ও মাঠের ভেতর দিয়ে অন্তত দুই কিলোমিটার পায়ে ওই দুই সহোদর কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ দেন। ইউএনওর এমন মানবিক কার্যক্রম দেখে স্থানীয়রা অনেকে তার প্রশংসা করেছেন।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দবির উদ্দিন বলেন, আসলে যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় আমরা দুই কিলোমিটার পায়ে হেটে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ দিয়ে এসেছি। আমাদের কস্ট হলেও শান্তি পেয়েছি। কারণ ক্ষতিগ্রস্ত অনেকটা অসহায় অবস্থার মধ্যে রয়েছে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই পরিবারকে দুই বান্ডিল টিন, দুটি কম্বল,২০ কেজি চাল, নগদ ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। পাইককান্দী গ্রামে যাতায়াতের জন্য রাস্তা নির্মাণের প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ইউএনও।
ত্রান সামগ্রী বিতরণকালে ইউএনওর সাথে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, নগরকান্দা প্রেসক্লাবের সভাপতি শওকত আলী শরীফ, শহীদ মুক্তিযোদ্বা আকরামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুব আলী মিয়া, কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাজু মোল্যা, সাহেদ আলী মোল্যা প্রমুখ।



