
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগ এনে ফের ভোট ও হল প্রভোস্টের পদত্যাগসহ ৪ দফা দাবিতে রোকেয়া হলে ৫ ছাত্রীর আমরণ অনশন শুক্রবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাকে পদত্যাগ করার জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় রোকেয়া হল গেটে ডাকসুতে আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে অংশ নেওয়া শ্রবণী শফিক দিপ্তী এ ঘোষণা দেন।
অনশনে সাময়িক বিরতি দিয়ে তারা হলগেট ছেড়ে ভেতরে প্রবেশ করেছেন। তবে তাদের মধ্যে দুইজন অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এর আগে রাত ৯টার পর থেকে রোকেয়া হলের পাঁচ থেকে ৬শ’ ছাত্রী হলগেটে এসে প্রভোস্ট জিনাত হুদার পদত্যাগ, নতুন প্রভোস্টের অধীনে হলের ছাত্র সংসদে পুনরায় নির্বাচন, অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
পরে রাত ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট জিনাত হুদাসহ আবাসিক শিক্ষকরা সেখানে উপস্থিত হন। তবে তাদের কাছ থেকে আশানুরূপ কোন প্রতিশ্রুতি না পাওয়া ছাত্রীরা বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এরপর সাড়ে ১০টার দিকে শুক্রবার পর পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত রেখে হলে প্রবেশ করেন ছাত্রীরা। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বুধবার রাত ৯ টা থেকে হলের মুল ফটকে অবস্থান নিয়েছেন রোকেয়া হলের ৫ শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অনশনস্থলে এসে তাদের দাবির সাথে একমত পোষণ করেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। অনশনকারী শিক্ষার্থীরা হলেন, রাফিয়া সুলতানা, শ্রবণা শফিক দিপ্তী, প্রমী খিসা, শেখ সায়িদা আফরিন শাফি, জয়ন্তী রায়না।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) অনশনকারী ছাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাঁদের হেনস্তা করেন।
অনশনকারী শ্রবণা শফিক দীপ্তি বলেন, চারটি দাবিতে আমরা সুশৃঙ্খলভাবে অনশন করছিলাম। বুধবার রাতে গোলাম রাব্বানী তাঁর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এখানে এসে আমাদের, সমর্থনকারীদের হেনস্তা করেন। ছবি দেখিয়ে একজনকে চরিত্রহীন প্রমাণের চেষ্টা করেন। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, আমরা মদ-গাঁজা খেয়ে আন্দোলন করছি। এ ছাড়া আমাদের চিহ্নিত করে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য প্রক্টরকে বলেন।
এর আগে বুধবার রাতে ডাকসু ও হল সংসদে পুনর্নির্বাচন, হল প্রভোস্টের পদত্যাগ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন রোকেয়া হলের পাঁচ শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে চারজন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন পদের প্রার্থী ছিলেন।