slider

নাটোরে বিএনপি নেতা দুলু দুটি মামলায় জামিন পেলেন

নাটোর প্রতিনিধি : বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু দুটি হত্যা মামলায় জামিন লাভ করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে নাটোরের সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো.শরীফ উদ্দীন তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। একটি মামলায় একজন সাক্ষির সাক্ষ্যও গ্রহণ করা হয়।
দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ও আইনজীবীদের সূত্রে জানা যায়,নাটোর শহরের তেবাড়িয়া এলাকার রাকিব ও রায়হান হত্যা মামলা এবং আলাইপুরের যুবলীগ নেতা পলাশ হত্যা মামলায় রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু অভিযোগপত্রভূক্ত আসামি। তিনি দুটি মামলাতে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওই মামলা দুটির তারিখ ছিল। ওইদিন তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় বিচারক তাঁর জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।
আজ বুধবার দুপুরে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার আদালতে আত্মসমর্পণ করে পুনরাই জামিনের আবেদন করেন। তাঁর নিয়োজিত আইনজীবী সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন আদালতকে জানান,রুহুল কুদ্দুস মরনব্যাধিতে আক্রান্ত। তিনি গত ২৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ক্যামোথেরাপি নিচ্ছিলেন। এ কারণে তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। তাঁর বড়ভাই আইনজীবী রুহুল আমীন তালুকদার আদালতকে জানান,তাঁর ভাই নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির একজন সদস্য। তিনি পরবর্তী তারিখে আসামিকে হাজির করার অঙ্গিকারনামা দিতেও প্রসতুত আছেন। তাঁর পক্ষে অপর আইনজীবী আলী আজগর খান আদালতকে বলেন, জামিন দিলে আসামি পলাতক হবেন না,এই নিশ্চয়তা তাঁরা দিচ্ছেন। বিএনপি সমর্থক বিপুল সংখ্যক আইনজীবী এ সময় আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের ভারপ্রাপ্ত কৌঁসুলি আরিফুর রহমান জামিনের বিরোধীতা করে আদালতকে বলেন,আসামি রুহুল কুদ্দুস যতটা অসুস্থতার কথা বলছেন প্রকৃতপক্ষে ততটা অসুস্থ না। তাঁকে বিভিন্ন সভা সমাবেশে বক্তব্য দিতে দেখা যাচ্ছে। এ সময় আদালত রুহুল কুদ্দুস তালুকদারের কাছে জানতে চান,২৬ সেপ্টেম্বরের আগেও তিনি কতদিন আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন ?
উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক রুহুল কুদ্দুস তালুকদারকে দুটি মামলাতেই পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন। অসুস্থতার কারণে তাঁকে জামিন দেওয়া হলো বলেও জানানো হয়।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদারকে জামিন দেওয়ার পর পরই আদালত তেবাড়িয়ার রাকিব-রায়হান হত্যা মামলার সাক্ষি ইদ্রিস আলীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষি আদালতকে ঘটনার তারিখ বলতে পারেননি। তিনি ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলেও জানান। তবে গুলিতে দুইজন লোক মারা গেছেন বলে তিনি শুনেছিলেন। আসামি পক্ষ থেকে জেরা করার পর রাষ্ট্র পক্ষ থেকে ওই সাক্ষিকে বৈরী ঘোষণা করে জেরা করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button