sliderখেলাশিরোনাম

টাইগারদের হারিয়ে চার বছর পর লঙ্কানদের সিরিজ জয়

সুখস্মৃতি ফেরানো হালো না টাইগারদের। বিশ্বকাপের দুঃস্মৃতি লেগে থাকলো বাংলাদেশের সাথে। কলম্বো প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজে সমতা ফেরার ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে উল্টো ৭ উইকেটে হেরে যায় তামিম ইকবালের দল।
এ জয়ে দীর্ঘ চার বছর পর একদিনের ম্যাচে সিরিজ জয়ের খরা কাটালো লঙ্কানরা।
আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের দেয়া ২৩৯ রানের লক্ষ্য ৪৪.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে পাড়ি দেয় শ্রীলঙ্কা ব্যাটসম্যানরা। দলের হয়ে সর্বে্াচ্চ (৮২) রান আসে অভিশকা ফার্নান্দোর ব্যাট থেকে। অঞ্জেলো ম্যাথুস করেন অপরাজিত (৫২) রান।
ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচেও প্রথম খেলার রূপান্তর করলো বাংলাদেশ। গত ম্যাচের মতো মুশফিকুর রহিমই ছিলেন বাংলাদেশের চালক। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মাঝে একাই হাল ধারেন দলের।
তিন ম্যাচ অডিইআই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত (৯৮) রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রান করতে সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
রোববার বিকেল ৩টায় (বাংলাদেশ সময়) শুরু হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে সমতায় ফিরতে বাংলাদেশ এবং সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি টাইগারদের। ১১৭ রানেই হারায় ৬ উইকেট । দেখে-শুনে শুরু করলেও ২৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নুয়ান প্রদীপের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার।
এরপর দলীয় ৩১ রানের মাথায় আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল ফেরেন ইসুরু উদানার বলে বোল্ড হয়ে। তার উইলো থেকে আসে ১৯ রান।
পর পর দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়া দলকে টেনে তুলতে এসে ২৩ বলে ১২ রান করে ফিরে যান ওয়ানডাউনে নামা মোহাম্মদ মিথুন।
মুশফিকই ব্যাটিংয়ের হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার সঙ্গ দিতে এসে আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন অন্য ব্যাটসম্যানরা। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৬, সাব্বির রহমান ১১ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১৩ রানে ফিরে গেলে কঠিন চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
সপ্তম উইকেটে মেহেদি হাসান মিরাজ দেখে-শুনে খেলে মুশফিককে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করেন। মুশফিকুর ও মিরাজের ব্যাটে পথ খুঁজতে থাকে বাংলাদেশ। দুজনে জুটিতে তোলেন ৮৪ রান।
৪৯ বলে ৬ চারে ৪৩ রান করে মিরাজ আউট হন প্রদীপের বলে।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মুশফিকুর রহিম করেন ১১০ বলে ৯৮ রান। ছয় চার ও এক ছক্কায় ইনিংসটি খেলেন মুশফিক। তবে দলের চালক হয়েও আফসোস থেকে গেলো ২ রানের জন্য সেঞ্চুর মিস করা মুশির।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে নুয়ান প্রদীপ, ইসুরু উদানা ও ধনাঞ্জয়া প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
২৩৯ রানের লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কার শুরুটা হয় দুর্দান্ত। বিনা উইকেটেই ৭১ রান তোলেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান অভিশকা ফার্নান্দো ও দিমুথ করুনারত্নে। শেষ পর্যন্ত মেহেদী হাসান মিরাজ ভাঙেন সেই জুটি।
ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে করুনারত্নেকে ফেরান মিরাজ। ২৯ বলে ১৫ রান করে মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন করুনারত্নে।
এরপরও ফার্নান্দোর ব্যাট চলতে থাকে স্বজোরে। অবশেষে তাকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজ নিজের করা চতুর্থ ওভারে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ফার্নান্দোকে। আউট হয়ে ফেরার আগে ৭৫ রানে ৮২ রান করেন এই লঙ্কান ওপেনার।
পরের ওভারে ৩০ রান করে কুশল পেরেরাও ফেরেন ফিজের শিকার হয়ে।
কিন্তু এরপরও স্বস্তিতে ছিলো না বাংলাদেশ। প্রয়োজন মতো রান উইকেট খোয়ানোর আগেই তুলে ফেলেছে লঙ্কানরা। ৩ উইকেট নেয়ার পর লঙ্কান দুর্গে আর কোনো আঘাত হানতে পারেনি বাংলাদেশী বোলাররা।
কুশল মেন্ডিস ও অঞ্জেলো ম্যাথুসের ৯৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৪৪.৪ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় করুনারত্নের দর।
কুশল মেন্ডিস (৪১) ও অঞ্জেলো ম্যাথুস (৫২) রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেমী বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজ ২টি ও মিরাজ একটি উইকেট শিকার করেন।
৭৫ বলে ৯ চার ও দুই ছক্কায় ৮২ রানের স্বভাবসুলভ ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন লঙ্কান ওপেনার অভিশকা ফর্নান্দো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button