sliderস্থানীয়

কাপাসিয়ায় জমি রক্ষার দাবীতে প্রান্তীক চাষীদের সমাবেশ

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত জমিতে বনবিভাগের হয়রানীর প্রতিবাদে ঢাকা কিশোরগজ্ঞ সড়কের কাপাসিয়া চকবড়হর এলাকায় শুকবার সকালে দুই শতাধিক প্রান্তীক জনগোষ্ঠী বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

বিক্ষোভকারী মোর্শেদ নেওয়াজ মোল্লা ও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিক্ষোভ চলাকালে আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপিকে এ বিষয়ে অবগত করেছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল হাকিম মোল্লা বলেন, রিমি আপা ফোন করেছে, বিষয়টি আমাকে দেখতে বলেছে। রোববারে এলাকাবাসীকে নিয়ে ডিসি মহোদয়ের কাছে যাব।

বিক্ষোভকারীরা জানায়, শত বছর ধরে বাড়ী ঘর নির্মাণ, গাছপালা রোপন, কৃষি জমিতে চাষাবাদ করে আসছি। ভোগদখলীয় জমিতে বনবিভাগের লোকজন প্রতিনিয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজকর্মে বাধা দেয়। মামলা মোকদ্দমার ভয়ভীতি দেখায়। এ ব্যাপারে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খানের বরাবর লিখিত ভাবে জানিয়েছি।

বিক্ষোভকারী মোমেনা, শিল্পী, ফালানী জানায়, বনের লোকেরা জবর (অনেক) বিরক্ত করে। গাছ কাটলে, ফসল করলে বাধা দেয়। খালি টাকা চায়। ২ টাকার কাজ করলে ৫ টাকা নেয়। কেমনে বসত করবো। আয়েশা, তামজিনা রতœা বলেন, বাড়িতে টাকার জন্য আইসা বইসা থাকে। গার্ডরা টাকার জন্য অত্যাচার করে। রতœা বলেন, আমি ঘর করার সময় টাকা দিছি। বিক্ষোভকারী মোস্তফা বলেন, ২০ হাজার টাকা দিলে ঘর করা যায়। টাকা না দিলে ঘর হয়না। কবর করতে দেয়না, লাশ নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে হয়। আমান উল্লাহ বলেন, টয়লেটের টাংকী করতে টাকা লাগে। গার্ড পাঠাইয়া দেয়। মামলার হুমকি দেয়। খালেদা সরকার স্বপ্না বলেন, আমার স্বামী মারা গেছে। আমাকে ঘর করতে দেয়নাই। রড কিনেছি, কে বা কাহারা রড নিয়ে গেছে।

বিট অফিসার মনির হোসেন বলেন, আমরা হয়রানি করি নাই। ইউএনও অফিস সূতে জানা যায়, চাষীদের পক্ষ থেকে একটি আবেদন জমা হয়েছে।

কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান বলেন, বহু বছর আগে থেকে ওই এলাকার মানুষ এসব জমি ভোগ দখল করে আসছে। সাধারণ প্রান্তীক গরীব মেহনতি মানুষকে কোনো ভাবেই হয়রানী করা যাবেনা। আমি জেলা সমন্বয় কমিটি সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করবো।

ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মো. নুরুল করিম এর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। ঢাকার উপ বন সংরক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেননা।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button