করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘গতি বাড়ছে’: ডব্লিউএইচও
অনলাইন ডেস্ক : সারা বিশ্বে তিন লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এই থেকে সৃষ্ট মহামারির গতি আরও বাড়ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়া প্রথম ব্যক্তি থেকে শুরু করে এই সংখ্যা এক লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ৬৭ দিন। পরের ১১ দিনে আরও এক লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়, আর পরের এক লাখে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র চার দিন।
কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস বলেন, ‘এখনো এর গতিপথ পাল্টে’ দেওয়া সম্ভব।
তিনি দেশগুলোকে কভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষা এবং আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সনাক্ত করার কৌশলের ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
টেড্রোস বলেন, “আমরা কী পদক্ষেপ নেই সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে একটা ফুটবল ম্যাচ জেতা যায় না। প্রতিরক্ষার সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণও করতে হবে।”
ফুটবল খেলোয়াড়দের নিয়ে ‘কিক আউট করোনাভাইরাস’ শিরোনামের একটি কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফিফার প্রেসিডেন্ট গিয়ান্নি ইনফানটিনোর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
আরও বলেন, মানুষকে ঘরের ভেতরে থাকতে বলা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো পদক্ষেপ ভাইরাসের সংক্রমণের গতি কমিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এগুলোকে প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটা জিততে সাহায্য করবে না।”
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশগুলোকে ‘আগ্রাসী ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানান ডব্লিউএইচও’র প্রধান। বলেন, “জয় পেতে হলে আমাদের আগ্রাসী আর সুনির্দিষ্ট কৌশল গ্রহণ করতে হবে- প্রতিটি সন্দেহভাজন ব্যক্তির পরীক্ষা করতে হবে, শনাক্ত হওয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে আইসোলেশন ও যত্নে রাখতে হবে, আর তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে।”
বিশ্বজুড়ে ব্যাপক হারে চিকিৎসা কর্মীদের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ড. টেড্রোস। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি বা পিপিই পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকার কারণেই সংক্রমণের শিকার হয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, পিপিই-কে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং এর গুরুত্ব নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অংশীদারদের সাথে মিলে কাজ করছে। একই সাথে বিশ্বজুড়ে এর সংকটের বিষয়টিও তুলে ধরা হবে।
ট্রেডোস ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও সমন্বয়ের’ আহ্বান জানান এবং বলেন, চলতি সপ্তাহে জি-২০ জোটভুক্ত নেতাদের আহ্বান জানাবেন তারা যাতে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি উৎপাদন বাড়ায় এবং সেগুলো রপ্তানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়। পাশাপাশি এসব সরঞ্জামের বণ্টন যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।