
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ জেলার ছয় শতাধিক চরমপন্থী স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আত্মসমর্পণ করেছেন। সুন্দরবনের জলদস্যু এবং মাদক ব্যবসায়ীদের আত্মসমপর্ণের পর তৃতীয়বারেরমত এমন ঘটনা ঘটল।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনউদ্দিন স্টেডিয়ামে জেলা পুলিশের এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তারা। এ চারটি সংগঠন হলো পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা), সর্বহারা, নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি ও কাদামাটি।
জেলা পুলিশ জানায়, পাবনা, ঈশ্বরদী, নাটোর, বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রাজশাহী, রংপুর, কুষ্টিয়া, নড়াইল, রাজবাড়ী, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর জেলায় সক্রিয় বিভিন্ন চরমপন্থী দলের সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আত্মসমর্পণ করে।
গত রবিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, আত্মসমর্পনকারী চরমপন্থীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সব ধরণের সহায়তা করা হবে।
এরই অংশ হিসেবে রাজবাড়ী, খুলনা, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, বাগেরহাট, যশোর, পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, জয়পুরহাট, নওগাঁ ও টাঙ্গাইল জেলার অন্তত ২২ টি গ্রুপের ৬ শতাধিক চরমপন্থী আত্মসমর্পন করলো।
২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইস্তেহারে চরমপন্থীদের সাধারণ জীবনে আসার আহ্বান জানানো হয়েছিলো। জলদস্যু ও মাদক ব্যবসায়ীদের মতো সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে যাচ্ছে চরমপন্থীরা।
আত্মসমর্পণকারীদের অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, বিস্ফোরক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। তারা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। আত্মসমর্পণ করলেও তাদের নিয়মিত মামলা চলবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।