sliderস্থানিয়

সিলেটে চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসী হামলা, মা ছেলে আহত

বিশেষ প্রতিবেদক: সিলেটে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় মা ও ছেলের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং স্বর্নালংকার লুটের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে হামলার এ ঘটনা ঘটেছে বলে শাহপরান থানায় শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) অভিযোগ দায়ের করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের সাদাটিকর শিমুল মঞ্জিলের মো. আউয়াল মিয়ার স্ত্রী পপি আক্তার (৩৬)।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, সাদাটিকর বি ব্লকের ২নং বাসার মকবুল হোসেনের দুই ছেলে আতিকুর রহমান রাজু ওরফে ইয়াবা রাজু ও আরিফুল ইসলাম ওরফে টাইগার আরিফ এলাকায় সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী হিসাবে পরিচিত।

তারা পপির পরিবারের আর্থিক উন্নতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছুদিন থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিল। পপি ও তার পরিবার চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিচ্ছিল।

তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে উপশহর এইচ ব্লকের মাতাবের মাঠে ক্রকেট খেলতে গেলে পপির ছেলে অপুর (২২) কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যতায় হত্যা করে লাশ গুম ও সৌদি আরব যাওয়া বন্ধের হুমকি দেয়া।

অপু ভয় পেয়ে দৌড় দিলে রাজু ও আরিফসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী তাকে ধাওয়া করে। তারা এইচ ব্লকে রায়হানের দোকানের সামনে তাকে ধরে হকিস্টিক, দা, রামদা দিয়ে আঘাত করতে থাকে।

তারা তাকে হত্যা করতে উদ্যত হলে রায়হান তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন।এতে তারা আরও বেশী ক্ষুব্দ হয়ে তার দোকান ভাঙচুর করে প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়।

পপি খবর পেয়ে ছেলেকে রক্ষায় ছুটে এলে তারা তার উপরও হামলা করে এবং সাড়ে ৪ লাখ টাকা দামের ৩ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন কেড়ে নেয়। তারা তার শ্লীলতাহানী ও মারধোর করলে তিনি মারাত্মক আহত হন।

এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আরিয়ান (১৭) নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করতে সক্ষম হন। তারা পুলিশেও সংবাদ পাঠান। রাজু ও আরিফ পুলিশ আসার খবর পেয়ে আবারও পপি ও তার পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

শাহপরান থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আরিয়ানকে নিজেদের হেফাজতে নেয় আর পপি ও তার ছেলে অপুকে চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তারা সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন।

পপি তার স্বর্নের চেইন উদ্ধার ও সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ রাজু এবং আরিফের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button