রাজনীতি

মারামারির মামলায় মুন্সীগঞ্জ ছাত্রলীগের সভাপতি কারাগারে

ক্যাবল ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মারামারির মামলায় মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে আমলি আদালত-১ (সদর) এ আদেশ দেন।
গত ১৬ মার্চ বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি গ্রামের আয়েশা আক্তারের বাড়িতে ভাঙচুর ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আয়েশা আক্তারসহ তাঁর পরিবারের পাঁচজন আহত হন।
আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে চরকেওয়ার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির সভাপতি হাকিম মিজিকে হুকুমের আসামি ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধাকে ১ নম্বর আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ফয়সাল মৃধা হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে দুটি গুলি করেন এবং তাঁর সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসী বাহিনী আয়েশা আক্তারের ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক হারুন অর রশীদ জানান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা দুপুরে আমলি আদালত-১ (সদর)-এ এসে আত্মসমর্পণ করে মারামারির মামলায় জামিন আবেদন করেন। এ সময় বিচারক হায়দার আলী জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে আদালতের রায় ঘোষণার পরপরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সদরের মুন্সীরহাট এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করেন।
এই ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুচ আলী জানান, রায় ঘোষণার পর সদরের মুন্সীরহাট এলাকায় ফয়সাল মৃধার সমর্থকরা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজি মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধাকে রাজনৈতিক হয়রানির শিকার। আমি অনুরোধ জানাচ্ছি, বিষয়টি বিশেষভাবে খতিয়ে দেওয়া হোক।’
মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহম্মেদ পাভেল বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা করে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি চাই। সুত্র: এন টিভি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button