জাতীয়শিরোনাম

দৌলদিয়ায় ৫ কিলোমিটার যানজট:সীমাহীন দূর্ভোগে যাত্রীরা

সংবাদদাতা, রাজবাড়ী: পবিত্র ঈদুল ফিতর শেষে খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পারাপরের অপেক্ষায় দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের ৫কিলোমিটার দীর্ঘ লম্বা লাইন। প্রচন্ড গরমে যাত্রীরা পায়ে হেটে লঞ্চঘাট ফেরিঘাটে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
দক্ষিন বঙ্গের ২২ জেলার মানুষের সড়ক পথে রাজধানীর সাথে যোগাযোগের নাভী খ্যাত দৌলতদিয়ায় ভোগান্তীর শিকার এই অঞ্চলের যাত্রীরা। প্রতিদিনই বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে যানজট। প্রতিদিন মহাসড়কে ৪/৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের লম্বা লাইন দেখতে পাওয়া যায়। গত ঈদুল ফিতরের পর হতেই এ অবস্থা শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকালে দৌলতদিয়ার জিরো পয়েন্ট গোয়ালন্দ ফিডমিল পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে যায়। প্রচন্ড গরম উপেক্ষা ক্যানাল ঘাট এলাকা থেকে ফেরি পারাপার গাড়ীর যাত্রীরা লঞ্চে নদী পার হওয়ার জন্য ঘাটে যাচ্ছে।
এসময় দক্ষিন বঙ্গের কয়েক জন পরিবহন বাসের চালক বলেন, দুপুর ১টায় এখানে এসেছি। রাত দশটায় ফেরিতে উঠতে পারব কি না জানি না। ৫ মিনিটের রাস্তা পাড় হতে ৭/৮ ঘন্টা সময় লাগে। এসময় ঝিনাইদহ, মাগুরা, খুলনা, থেকে আসা রাজধানী গামী যাত্রীরা জানান আমরা ফেরি পারাপারের গাড়ীতে এসে লঞ্চে নদী পার হচ্ছি। আমাদের বাস যে জায়গায় সিরিয়ালে আটকা পড়েছে সেখান থেকে ফেরিতে উঠতেই বিকাল গড়িয়ে যাবে। তাই লঞ্চে নদী পার হয়ে পাটুরিয়া থেকে বিকল্প গাড়ীতে ঢাকা যাব।
জানা গেছে, এ ঘাটে প্রশাসনের কড়া নজরদারীতে দালাল, চাঁদাবাজ, মলম পাটি, ছিনতাই কারীর উৎপাত অনেকটা কম। কিন্তু যানজট কমেনি। তবে অভিজ্ঞ মহল বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর ব্যবস্থাপনাকে এর জন্য দায়ী করছে। তাদের ধারনা ফেরিঘাট গুলি সঠিক মেরামত না করায় ফেরি ঘাটে ভিরতে সময় লেগে যায়। এছাড়া নদীর স্রোত বেড়ে যাওয়ায় দুর্বল ফেরির ইঞ্জিন কুলিয়ে উঠতে পারে না।
অনেকে মনে করেন মেরামতের নামে লাক্ষ লাক্ষ টাকা খরচ করা হলেও সেগুলি সঠিক ভাবে মেরামত করা হয় না। যার কারনে ফেরিগুলি সময়মত গাড়ী পার করতে পারছে না। প্রায় সময়ই এই রুটে চলাচলা কারী ফেরি যান্ত্রীক ত্রুটির কারনে বসে থাকে। নাম প্রকাশ নাকরার শর্তে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকার্তা জানান এরুটের ফেরিগুলো নিয়মিত চলাচল করতে পারলে যানজট থাকত না। তাছাড়া অন্যান্য সময়ের তুলনায় ঈদের সামনে গাড়ীর চাপ দ্বিগুন বেড়ে গেছে। কিন্তু সেই তুলনায় ফেরি বাড়ানো হয়নি। বর্তমানে এরুটে ১৮টি ফেরি ও ২৭টি লঞ্চ চলাচল করছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় কম।
এব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি সংশ্লিষ্ঠরা বলেন ঈদের যাত্রীর চাপ কমে গেলেই যানজট থাকবে না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button