
গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুই ছাত্রদল নেতাকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তারা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহতরা হলেন শাহরিয়ার হাসান সিয়াম (২৩) উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং তামিম আহমেদ (২৩), একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। তারা দুজনেই কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের হাড়িয়াদী গ্রামের বাসিন্দা।
লিখিত অভিযোগে সিয়াম জানান, গত ১৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাপাসিয়া থানাধীন কড়িয়াদী খেয়াঘাট বাজারে অবস্থানকালে স্থানীয় মোঃ শামীম, মোস্তফা মোড়ল, আল-আমিন, ফরহাদ মোড়ল, রোকন বেপারী, শহিদুল্লাহ, দানিছ, শফিকুল ইসলাম বাহাদুরসহ অন্তত ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা ডাব চুরির মিথ্যা অভিযোগ তুলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং কিল-ঘুষি ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে সিয়াম ও তার বন্ধু সাদিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। হামলাকারীরা তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
পরদিন ১৪ অক্টোবর সকালে একই গ্রুপের কয়েকজন মোটরসাইকেলে এসে সিয়াম ও তামিমকে জোর করে তুলে নিয়ে কাপাসিয়া থানাধীন কুড়িয়াদী খেয়াঘাট এলাকার এক পরিত্যক্ত বাড়িতে নেয়। সেখানে তাদের ওপর আবারও বেধড়ক মারধর করা হয়। অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম বাহাদুর লোহার হাতুড়ি দিয়ে সিয়ামের মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়, এবং আল-আমিনের হাতে থাকা লোহার রডের আঘাতে তামিমের পা ভেঙে যায়।
স্থানীয়রা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন।
শাহরিয়ার হাসান সিয়াম বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে প্রতিপক্ষ গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে আমাদের হত্যা করার চেষ্টা করেছে। এখনো আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”
এবিষয়ে অভিযুক্ত শামিম জানান, এসব অভিযোগ মিথ্যা। সিয়াম ও তামিম গণপিটুনিতে আহত হয়েছে।
সিংহশ্রী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া মানসুর বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। সিয়াম আমাদের ছাত্রদলের নেতা।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রব জানান, “লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”