sliderশিরোনামস্পটলাইট

ধর্মপুর ঐতিহাসিক মসজিদ

শামীনূর রহমান,নওগাঁ : সঠিক কোন পরিসংখ্যানের তথ্যে পাওয়া যায় নাই, ওই মসজিদটি চিকন ইটে নির্মিত দেয়ালে নকশা করা মসজিদটি নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে অবস্থিত।
ওই এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা ধারণা করেন এক সময় মসজিদটির আশপাশে মুসলিম জনবসতি ছিল। যে কারণে এখানে ঐতিহাসিক মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল এবং ব্রিটিশ সরকারের আমলে অথবা অন্য কোন কারণে তারা মসজিটির আশপাশ এলাকার ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। ফলে এটি অযত্ন-অবহেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় দীর্ঘকাল পড়ে থাকে। পরবর্তীতে সংস্কারের অভাবে ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকে মসজিদটি।
এছাড়াও একই স্থানে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আরও একটি মসজিদ স্থাপন করা হয়।
জনস্রুতি আছে এই এলাকার মসজিদটি বাদশাহ আকবরের যুগের এখানে শুধু মসজিদ নয় মসজিদের সাথে আরো তিনটি ঘর রয়েছে যা মসজিদের বাহিরে সরাইখানা হিসেবে পরিচিত।
মসজিদ টি যখন ভালো ছিল নয় গম্বুজ নামে প্রসিদ্ধ ছিল। মসজিদ টির গম্বুজ ভেঙ্গে যাওয়ার পর ভাঙ্গা মসজিদ নামে এলাকার লোক জনের কাছে পরিচিত। মসজিদ টি নির্মাণ করা হয় ইট চুন সুরকি যা বাংলাদেশে অদ্বিতীয়।


জনস্রুতি আছে এটা এক রাত্রিতে মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে তৈরি হয়ে গিয়েছে।
মসজিদটি অনেক পুরাতন।
মসজিদটি’র পার্শে ধর্মপুর পাইকপাড়া মন্ডলপাড়া জামে মসজিদের মুসল্লী
কৃষক আব্দুল মান্নান (৭০)বলেন,
আমার নিজের চোঁখে দেখা মসজিদটি ১০বছর আগেও অনেক সুন্দর ছিলো। দূর দূরান্তর থেকে মানুষ আসতেন দেখতে।
এখানে শুধু দুই ঈদের নামাজ হইতো।
শেষ ঈদের জামাত ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
বাপ দাদার মুখ থেকে শুনেছি ১৯২০ সালে মহা ভুমিকম্পে মসজিদটির ৯ টি গম্বুজ সহ মসজিদটি’র কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়।
তারপর থেকেই ভাঙা মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। তিনি দুঃখ করে বলেন,মসজিদটি’র মহা মুল্যবানের তিনটি পাথর ছিলো,কুরআনের সুরা সম্ভবত কষ্টি পাথরের ১৫/২০ বছর আগে কে বা কাহারা চুরি করে নিয়ে যান।

বাহিরের তিনটি দরগাঁর মধ্য ২ টি দরগাঁ প্রতি বছর ১০ হে মহরম তাজিয়া মিছিল হতো।
এলাকার যুব সমাজের উদ্দ্যেগে মসজিদটিকে সারা বাংলাদেশের মানুষদের কাছে পরিচিত করতে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজ হাতে নিয়েছে।।
দাওয়াতুল হক ইসলাম এর সদস্য রেজুয়ান বলেন,নওগাঁ সহ দেশবাসী কাছে আকুল আবেদন মসজিদটি রক্ষায় সকলেই এগিয়ে আসুন।
মসজিদটি প্রতিষ্ঠার সময় কি নাম রেখেছেন তাও কেউ বলতে পারে না। কিন্তু মসজিদের দেয়াল ফেটে গিয়ে নষ্ট হওয়ায় এবং এর গায়ে আগাছা পরিপূর্ণ হওয়ায় আগের মত আর নেই।ওই এলাকার একাধিক প্রবীণ লোকজনের সাথে আলোচনা করেও মসজিদটিতে সর্বশেষ কত সালে নামাজ আদায় হয়েছে তা জানা যায়নি।তবে এ উপজেলার একমাত্র পুরাকীর্তি ও ঐতিহাসিক মসজিদটির প্রতি সরকারি বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা ধর্মভীরম্ন মুসলিম বিত্তশালীরা কেউই এটির প্রতি দৃষ্টিপাত করছেন না। ফলে মসজিদটির যে টুকু অংশ এখনও অবশিষ্ট রয়েছে তাও ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button