sliderখেলা

আমি ওরে ধরিও নাই, ছুঁইও নাই: ইলিয়াস মোল্লা

পাকিস্তানের একজন সমর্থককে খেলার মাঠে জোর করে বাংলাদেশের পতাকা পরিয়ে দেবার অভিযোগ উঠার পর সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা এটিকে ভিত্তিহীন হিসেবে দাবী করছেন।
এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই মি: মোল্লা দাবী করেন এই ঘটনার তার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার সামনে বাংলাদেশী পতাকা জড়ানো সেই পাকিস্তানী সমর্থক কাঁদছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সকালের দিকে সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সফল হওয়া যায়নি। সেজন্য তার বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
তবে রাতে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ও পাকিস্তানের সাপোর্টার আমি ওকে দেখিও নাই। আমি অনেকদূরের থেকে দেখছি ওকে কে বা কারা বাংলাদেশের পতাকা ওর গায়ে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।”
তিনি আরো বলছিলেন, “যখন লাগানো দেয়া হয়েছে, তখন আমি এমন একটা জায়গায় বসছিলাম নিচে মাঠের সাথেই। আমার সামনে শেষ কর্নার পর্যন্তই ছিল। তা আমি বললাম যে এখানে তোমরা হুড়াহুড়ি কইর না। আমি চুপচাপ বসে আছি। আমি ওরে ধরিও নাই, ছুঁইও নাই। এবং আমি বলছি এখানে তোমরা কোন কিছু কইর না। তোমরা চলে যাও।”
ইলিয়াস মোল্লা বলছেন, পাকিস্তানের সেই সমর্থকদের সাথে তার কোন কথা হয়নি। এ রকম কোন ছবি কেউ দেখাতে পারবেনা।
মি: মোল্লা বলেন, “আমি বসা ছিলাম। উঠিও নাই। আমি বলছি যে তোমরা এই লোকটারে এদিকে আনতেছ কেন? উনি পাকিস্তানের সাপোর্টার। উনি ওনার দেশকে ভালোবাসে। ওরটা ও যা ইচ্ছা তাই করবে। যখন আসতেছে তখন লোকটার মুখে আমি একটা শব্দ পাইছিলাম পাকিস্তান জিন্দাবাদ। আর সবাই বলে যে বাংলাদেশ। শুধু এই টুকুই শুনলাম।”
তিনি অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা বানোয়াট খবর ছড়ানো। এ ধরনের ‘ভিত্তিহীন খবর’ ছড়ানোর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি-জামায়াতকে দোষারোপ করেন।
ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্টে জানা যাচ্ছে, সেই পাকিস্তানী নাগরিকের নাম বশির আহমেদ। পাকিস্তান দল যেখানেই খেলতে যায়, বশির আহমেদ সে মাঠে গিয়ে তার দলকে সমর্থন জানান।
বিবিসি’র তরফ থেকে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সফল হওয়া যায়নি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button