
সোহেল রানা খন্দকার,মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রদত্ত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলাধীন দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী ইউনিয়ন বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে আজ সোমবার বিকেলে ভোট বাজারে এ প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর। চরকাটারী ইউনিয়ন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ ওয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সহসভাপতি এ্যাড, মাকসুদুর রহমান মুকুল, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আনিসুর রহমান, ঘিওর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মীর মানিকুজ্জামান মানিক, শিবালয় উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ লোকমান হোসেন, জেলা বিএনপি’র প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফেরদৌস রহমান ও সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ আব্দুল মতিন, ওলামা দল কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ হাবিবুল্লাহ নোমানী, শিবালয় উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মোঃ সালাউদ্দিন সেলিম ও সদস্য সচিব মোঃ আব্দুস ছালাম প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তেব্যে জনসাধারণের মাঝে ৩১ দফা তুলে ধরে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি স্থানীয় লোকজনের মাঝে তারেক রহমান প্রদত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারণার লিফলেট বিতরণ করেন। ১৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা হলো- ১. জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন। ২. সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্রসত্ত্বা (Rainbow-Nation) প্রতিষ্ঠা ও (National Reconciliation Commission) “জাতীয় সমন্বয় কমিশন” গঠন। ৩. অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন। ৪. আইনসভা, মন্ত্রীসভা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিচার বিভাগের মাঝে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা। ৫. প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা অনুর্ধ্ব পরপর দুই মেয়াদ নির্ধারন। ৬, বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সৎম্পন্ন বিশিষ্ট দের প্রবর্তন। ৭. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন। ৮. নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংশোধন। ৯. স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরনে সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ও শক্তিশালীকরন। ১০. বর্তমান বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃপ্রবর্তন ও সংবিধানের আলোকে বিচারপতি নিয়োগ আইন প্রণয়ন। ১১. গণমুখী ও জনকল্যাণমূলক প্রশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন। ১২, মিডিয়া কমিশন গঠন করে তথ্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ। ১৩. দূর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ। ১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। ১৫. আত্মত্মনির্ভরশীল জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন। ১৬, ধর্মীয় স্বাধীনতার সর্বোচ্চ ও কার্যকর নিশ্চয়তা প্রদান। ১৭, মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরী নিশ্চিত করা। ১৮. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং নবায়নযোগ্য ও মিশ্র জ্বালানী ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ খাত আধুনিকায়ন ১৯. জাতীয় স্বার্থের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করে বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন ২০, প্রতিরক্ষা বাহিনীদ অধিকতর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সকল বিতর্কেনি উর্ধ্বে রাখা। ২১. প্রশাসন ও সেবা বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলি স্বশাসিত ও ক্ষমতাবান করা। ২২. শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান। ২৩. কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী ঘূৰ জায়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বেকার ভাতা প্রবর্তন। ২৪, নারীর মর্যাদা সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ। ২৫. চাহিদা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা। ২৬. ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য” এবং “সর্বজনীন চিকিৎসা ব্যবস্থা কার্যকর করা। প্রাথমিক ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত নারী ও পুরুষ পল্লী স্বাস্থ্যকর্মীর ব্যবস্থা করা এবং সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা সুবিধা নিশ্চিত করা। ২৭. কৃষকের উৎপাদন ও বিপণন সুরক্ষা দিয়ে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা। ২৮. সড়ক, রেল, নৌ পথের আধুনিকায়ন ও বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। ২৯. জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ এবং নদী শাসন ও খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা। ৩০. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং আণবিক শক্তির উন্নয়ন ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা। ৩১. যুগোপযোগী, পরিকল্পিত, পরিবেশ বান্ধব আবাসন এবং নগরায়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন |