sliderআন্তর্জাতিক সংবাদশিরোনাম

সিরিয়ায় অস্ত্রবিরতি কার্যকর হচ্ছে শনিবার

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতি ২৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে। সোমবার দেশ দুটি এক যৌথ বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়,অস্ত্রবিরতির ফলে তথাকথিত ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট নুসরা ফ্রন্টের ওপর হামলা বন্ধ হবে না।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে অস্ত্রবিরতি কার্যকরের ব্যাপারে একমত হয়েছিল। তবে ওই সময়সীমা পার হয়ে গেছে এবং অস্ত্রবিরতি কার্যকরের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে।
২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ায় সংঘাত শুরু হয়। দেশটিতে কয়েক বছর ধরে চলা যুদ্ধে আড়াই লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সবশেষ গত রোববার সিরিয়ায় বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৪০ জন নিহত হয়েছে। গৃহযুদ্ধে দেশেিত প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ লাখ মানুষ অন্য দেশে পালিয়ে গেছে। সিরিয়া সরকার আগামী ১৩ এপ্রিল দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। ২০১২ সালে দেশটিতে সবশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়।
হোয়াইট হাউস জানায়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে ফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। দুই নেতার মধ্যে ফোনে আলোচনার পর সিরিয়ায় প্রস্তাবিত অস্ত্রবিরতি কার্যকরের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া যৌথ বিবৃতি দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত অস্ত্রবিরতি শনিবার দামেস্কের স্থানীয় সময় মধ্যরাতে কার্যকর হবে। চুক্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ পক্ষগুলোর জন্য এই অস্ত্রবিরতি প্রযোজ্য হবে। আইএস, নুসরা ফ্রন্টসহ জাতিসংঘের তালিকায় থাকা অন্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এই অস্ত্রবিরতির অন্তর্ভূক্ত হবে না। তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা চলবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সশস্ত্র বিরোধী পক্ষগুলোকে ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরের মধ্যে তাদের অস্ত্রবিরতিতে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
রাশিয়া ও সিরিয়ার বিমান সশস্ত্র বিভিন্ন বিরোধী গোষ্ঠীর ওপর যেকোন ধরণের হামলা বন্ধ করবে।
অস্ত্রবিরতি চুক্তির আওতায় যোগাযোগের জন্য একটি হটলাইন স্থাপন করা হবে এবং অস্ত্রবিরতি লংঘন করা হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণে একটি কার্যকরি গ্রুপ তৈরির আহবান জানানো হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button