সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে মানববন্ধন ও প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করার সময় সাংবাদিকরা প্রশাসনকে ওই আলটিমেটাম দেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিকদের ওপর গত কয়েক দিন একের পর এক হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি পারভেজ খান বলেন, ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাব আছে। হামলাকারী সবাই চিহ্নিত হয়েছে। সরকার আন্তরিক হলে হামলাকারীরা আইনের আওতায় আসবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে সাংবাদিকদের আন্দোলন থেকে এবারের আন্দোলন ভিন্ন। এবার কোনো দলীয় সাংবাদিক পক্ষ আন্দোলন করছে না। এ আন্দোলনের সফলতা আসবে।’
বাংলাদেশ ফেডারেশন সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ বলেন, ‘প্রশাসন উসকানিদাতার পরিচয় প্রকাশ করছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের ফুটেজ আছে। প্রশাসন চাইলে সাংবাদিকদের কাছ থেকে ফুটেজ নিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে পারে।’
দীপ আজাদ বলেন, ‘সাংবাদিকরা আহত হলে সমাজের অন্য সবাই আহত হন। অন্যদের সংবাদ প্রকাশ বন্ধ থাকে। ফলে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
তিনি প্রশ্ন রাখেন- সাংবাদিকরা কারও প্রতিপক্ষ নন, তবু কেন তাদের ওপর এমন হামলা হচ্ছে? হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ও রোববার রাজধানীর বিভিন্নস্থানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের সময় পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার শিকার হন সাংবাদিকরা।
আজ মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খান, বাংলাভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার দীপন দেওয়ান প্রমুখ।