slider

৪ দিনেও মেরামত করা যায়নি পাইকগাছার দেলুটির ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ,আশ্রয়হীন মানুষের মানবেতর জীবন যাপন

শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছার দেলুটির ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ গত ৪দিনেও মেরামত করা যায়নি। ১ম দফা মেরামত হলেও তা জোয়ারের পানির চাপে ভেঙে গেছে। ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দুর্গত এলাকায়। সুপেয় পানির চরম সংকট সহ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পানি বন্দি ১৩ টি গ্রামের কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষ। প্রয়োজনীয় আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় ওয়াপদার বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়ে দিন যাপন করছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।উল্লেখ্য গত ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের কালিনগর এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে ২২ নং পোল্ডারের ১৩ গ্রাম প্লাবিত হয়। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধান দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল ও সোলাদানা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হকের নেতৃত্বে হাজার হাজার মানুষ বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছে। প্রথম যেটুকু মেরামত করা হয় তা জোয়ারের পানিতে ভেসে যায়।সর্বশেষ দুই হাজার মানুষ দিনভর কাজ করে তিন ভাগের দুই ভাগ মেরামত করতে সক্ষম হয়।কিন্তু সেটি ও প্রায় ভেঙে যায়। বাঁধ মেরামত কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দুর্গত এলাকায়।প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে রয়েছে। শত শত কাঁচা ঘরবাড়ি ধ্বসে যাওয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষ। দুর্গত এলাকায় প্রয়োজনীয় সাইক্লোন শেল্টার না থাকায় ওয়াপদার বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে বেশির ভাগ মানুষ।দারুণ মল্লিক গ্রামের স্বর্ণা সরকার বলেন এখানে তেমন কোন আশ্রয় কেন্দ্র নাই, যার কারণে নিরাপদ কোন আশ্রয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা নাই। সুপেয় পানির চরম সংকট সহ রান্না খাওয়া দাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই বলে জানান গৃহবধূ রুপালী রায়। ঘরবাড়ি ধ্বসে যাওয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন বলে জানান কবিতা সরকার। ভেঙ্গে পড়েছে স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা। গত ৪দিন মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানান ৭৫ বছরের বৃদ্ধ কল্পনা মন্ডল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দ্রুত বাঁধ মেরামত সহ পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন দুর্গত এলাকার মানুষ।দ্রুত বাঁধ মেরামত কাজ সম্পন্ন হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল। সরকারি সহায়তা প্রদান এবং বাঁধ মেরামত কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button