পতাকা ডেস্ক : নিয়োগের অপেক্ষা যেন কাটছেই না। মিলছে না সুখবর। একে একে ২৭তম দিনে এসে ঠেকেছে। আন্দোলনকারীরা অনড়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অন্তত ৪০ জন। প্যানেল নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষকরা। তারা বলছেন, যৌক্তিক দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবেন না তারা। এমনকি এই সড়কেই পালন করবেন ঈদ। ৫ই জুন থেকে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন প্যানেল প্রত্যাশী শতাধিক চাকরিপ্রার্থী।
তাদের দাবি হলো এনটিআরসির নিবন্ধিত সনদধারীদের প্যানেলভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে, বৈধ সনদধারী চাকরি প্রত্যাশীদের নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা স্থগিত রাখতে হবে। প্যানেলভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে এবং ইনডেক্সধারীদের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত না করে আলাদা বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।
প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত চাকরিপ্রার্থীরা অভিযোগ করেন, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এমন একটি প্রতিষ্ঠান যারা যোগ্য প্রার্থী বাছাই করার পর তাদের নিয়োগ না দিয়ে আবার প্রার্থী খোঁজে এবং পরীক্ষা ফির নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
শুধুমাত্র গত আড়াই বছরে এনটিআরসিএ নিয়োগ প্রত্যাশী নিবন্ধিত বেকারদের কাছ থেকে আবেদনের নামে মোট ২০৩ কোটি টাকা আদায় করেছে। অথচ এই সময়ে নতুন করে একজনও নিয়োগ দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
গণঅনশনে প্যানেল প্রত্যাশী কাকলী পারভীন বলেন, আমাদের গণঅনশনের ২৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সরকার, শিক্ষা মন্ত্রালয় বা এনটিআরসিএর পক্ষ থেকে কেউ সুখবর দেননি। তারা বলছেন আমরা নাকি অযোগ্য। আমরা অযোগ্য কীভাবে? আমরা সকল নিয়ম মেনে চাকরির জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়েছি। তিনি আরও বলেন, ১১৫৬ জন জাল সনদধারী ভুয়া শিক্ষককে সরকার নিয়োগ দিয়েছিল যাদের সনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বেতন-ভাতাসহ সমুদয় অর্থ ফেরত দেয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে। অথচ আমরা এনটিআরসিএ কর্তৃক বৈধ সনদপ্রাপ্ত হয়ে নিয়োগের দাবিতে রাজপথে থাকতে হচ্ছে। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকবো। প্রয়োজনে এই রাজপথেই ঈদ পালন করবো।